ভারত ছেড়ে পালিয়ে ব্রিটেনে গিয়ে ধৃত মেহুল চোক্সীর সংস্থা গীতাঞ্জলি জেম্স ঋণখেলাপির তালিকার শীর্ষে। ফাইল চিত্র।
ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে তা না মিটিয়ে বিদেশে পালিয়ে গিয়েছেন কেউ। কেউ আবার দেশে থেকেও ঋণের টাকা ফেরত দেননি। উল্টে নতুন করে তাঁদের মালিকানাধীন সংস্থার জন্য ঋণ নেওয়ার ছক কষে চলেছেন। বুধবার সংসদে প্রথম ৫০টি স্বেচ্ছায় ঋণখেলাপি ভারতীয় সংস্থার তালিকা প্রকাশ করল কেন্দ্র। এই ৫০টি ঋণখেলাপি সংস্থার কাছে দেশের সব ব্যাঙ্ক মিলে বকেয়া ৯২ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা।
লোকসভায় এক প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী ভাগবত করাড যে লিখিত পরিসংখ্যান পেশ করেছেন তাতে জানানো হয়েছে, ঋণখেলাপির তালিকার শীর্ষে রয়েছে, ভারত ছেড়ে পালিয়ে ব্রিটেনে গিয়ে ধৃত মেহুল চোক্সীর সংস্থা গীতাঞ্জলি জেম্স। ওই সংস্থার কাছে ব্যাঙ্কগুলির মোট বকেয়া ৭,৮৪৮ কোটি টাকা। তালিকার পরের দু’টি স্থানে রয়েছে এরা ইনফ্রা (৫,৮৭৯ কোটি) এবং সন্দীপ ও সঞ্জয় ঝুনঝুনওয়ালার সংস্থা রেইগো অ্যাগ্রো (৪,৮০৩ কোটি)।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দেওয়া তথ্য প্রকাশ করে মন্ত্রী জানিয়েছেন, ঋণখেলাপির তালিকায় রয়েছে কনকাস্ট স্টিল অ্যান্ড পাওয়ার (৪,৫৯৬ কোটি), এবিজি শিপইয়ার্ড (৩,৭০৮ কোটি), যতীন মেহতার উইনসাম ডায়মন্ডস অ্যান্ড জুয়েলারি (২,৯৩১ কোটি), রোটোম্যাক গ্লোবাল (২,৮৯৩ কোটি)-এর মতো বিভিন্ন সংস্থা। ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই এই রিপোর্ট দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্ট স্বেচ্ছায় ঋণখেলাপিদের তথ্য সামনে আনার নির্দেশ দেওয়ার প্রায় ৪ বছর পরে ২০১৯-এর অক্টোবরে প্রথম ৩০টি স্বেচ্ছায় ঋণখেলাপি সংস্থার নাম প্রকাশ করেছিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সে সময় ব্যাঙ্কে তাদের অনাদায়ী ঋণের অঙ্ক ছিল ৫০ হাজার কোটির সামান্য বেশি। তিন বছরের ব্যবধানে তা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে।