প্রতীকী ছবি।
সর্ষের তেলের দাম ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধির পরে মাত্র ৯ শতাংশ কমেছে। আর তাতেই নরেন্দ্র মোদী সরকার দাবি করল, অনেকটাই কমে গিয়েছে সর্ষের তেলের দাম।
মুখে যা-ই বলা হোক, কেন্দ্রীয় খাদ্য ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের তথ্য বলছে, এক দিকে সর্ষের তেল-সহ সব রকম ভোজ্য তেল এবং অন্য দিকে, গম, আটা— বাজারে এই দুই খাদ্যপণ্যের দাম চিন্তায় রেখেছে মোদী সরকারকে।
সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, গত বছরের তুলনায় সর্ষের তেলের দাম অনেকখানি কমেছে। কিন্তু সম্প্রতি পাইকারি বাজারে সর্ষের তেলের দাম কিছুটা কমলেও খুচরো বাজারে তার দাম ফের বাড়ছে। গত ২২ অক্টোবর সর্ষের তেলের দাম ছিল ১৬৭.২৩ টাকা প্রতি কিলোগ্রাম। এ মাসের ২২ তারিখ তা বেড়ে ১৭০.৮৬ টাকায় পৌঁছেছে। কেন্দ্রীয় খাদ্য ও উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রকের বক্তব্য, সর্ষের তেলের দাম খুব সামান্য বেড়েছে। তা ছাড়া গত বছরের তুলনায় ওই ভোজ্য তেলের দাম অনেকটাই কম। কারণ গত বছরের ২২ নভেম্বর সর্ষের তেলের দাম ছিল প্রতি কিলোগ্রামে ১৮৭ টাকার বেশি। বিরোধীদের বক্তব্য, মোদী সরকার যেটা বলছে না, তা হল ২০১৯-এ ২২ নভেম্বর সর্ষের তেলের দাম ছিল মাত্র ১০৮ টাকা প্রতি কিলোগ্রাম। দু’বছরে তা ৭৫% বেড়ে ১৮৭ টাকায় পৌঁছয়। এখন মাত্র ৯% কমায় কেন্দ্র বলছে, দাম কমেছে।
ভোজ্য তেলের সঙ্গে গমের দামও মোদী সরকারের চিন্তার কারণ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে গমের দাম বাড়বে অনুমান করে বেসরকারি সংস্থাগুলি চাষিদের থেকে বেশি দামে গম কিনে রেখেছে। কেন্দ্রীয় সরকার বাজার থেকে অনেক কম পরিমাণে গম কিনেছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় কম। তাই গত কয়েক বছরে মজুত গম থেকে খাদ্য সুরক্ষা আইন, রেশন ও অন্যান্য প্রকল্পে গম বিলি করতে হচ্ছে। যদিও কেন্দ্রের দাবি, ন্যূনতম প্রয়োজনের তুলনায় মজুত গমের পরিমাণ বেশি। আজ খাদ্য সচিব সঞ্জীব চোপড়া জানিয়েছেন, মে মাসে গম রফতানিতে রাশ টানার পরে তার দাম মাত্র ৭% বেড়েছে। ফলে এখনই নতুন কোনও পদক্ষেপের কথা ভাবছে না সরকার। সচিব জানান, বাজারে গমের দামে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। অস্বাভাবিক মাত্রায় দাম বাড়লে সরকার পদক্ষেপ করবে।