উপাসনাস্থল আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে সময় চেয়েছে কেন্দ্র। ফাইল চিত্র।
উপাসনাস্থল আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের অবস্থান জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। আজ তা জানানোর কথা ছিল কেন্দ্রের। এ ব্যাপারে জবাব দিতে শীর্ষ আদালতের কাছে আরও সময় চাইল নরেন্দ্র মোদীর সরকার। ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে এ ব্যাপারে কেন্দ্রকে হলফনামা জমা দিয়ে অবস্থান জানাতে নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই মামলার পরবর্তী শুনানি জানুয়ারিতে।
রামমন্দির-বাবরি মসজিদ বিতর্ক চলাকালীন ১৯৯১ সালে সংসদে উপাসনাস্থল আইন পাশ হয়েছিল। উপাসনাস্থলের চরিত্র বদলের নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি, ওই আইনে এ-ও বলা হয়েছিল, এ নিয়ে কোনও মামলা করা যাবে না। এক মাত্র ব্যতিক্রম অযোধ্যা বিবাদ। যদিও উপাসনাস্থল আইনের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন বিজেপি নেতা আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়। আদালতে তাঁর যুক্তি ছিল, উপাসনাস্থল আইন বৈষম্যমূলক। এর ফলে হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধরা বঞ্চিত হচ্ছেন। আজ প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালার বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। সে সময়ই এ ব্যাপারে হলফনামা দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে সময় চান সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে সরকারের সঙ্গে আরও আলোচনার দরকার। তাই সময় দেওয়া হোক।
আইনজীবী তথা বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী আজ জানিয়েছেন, তিনি তাঁর আবেদনে এই আইন বাতিলের দাবি করেননি। তাঁর বক্তব্য, রাম মন্দির বিবাদের মতো, কাশী ও মথুরা নিয়ে বিতর্কিত জায়গাগুলি সম্পর্কিত বিষয়গুলি উপাসনাস্থল (বিশেষ বিধান) আইনের বাইরে রাখতে হবে।