দক্ষিণ দিল্লি পুরসভা ফাইল চিত্র।
পঞ্জাবে সরকার গঠনের পরে আম আদমি পার্টি বিজেপির থেকে দিল্লির তিনটি পুরসভা ছিনিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল। তাতে জল ঢেলে দিয়ে আজ নরেন্দ্র মোদী সরকার দিল্লির তিনটি পুরসভাকে ফের মিশিয়ে দিয়ে একটি পুরসভা গঠনের সিদ্ধান্ত নিল।
আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনটি পুরসভাকে একত্রিত করার বিলে সিলমোহর পড়েছে। সংসদের চলতি অধিবেশনে এই বিল পেশ হবে বলে সরকারি সূত্রের খবর। এপ্রিল মাসে তিনটি পুরসভার ভোট হওয়ার কথা। চলতি অধিবেশনে এই বিল পাশ হলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভোট হওয়া কঠিন। দিল্লির সরকারে আম আদমি পার্টি থাকলেও তিনটি পুরসভাই এখনও বিজেপির দখলে। এ বার এপ্রিলে ভোটের লক্ষ্যে আপ নেতারা প্রতিটি ওয়ার্ডে ব্যানার-হোর্ডিং নিয়ে প্রচারও শুরু করে দিয়েছিলেন। অরবিন্দ কেজরীবালের দলের নেতারা আজ অভিযোগ তুলেছেন, হারের ভয়েই বিজেপি ভোট পিছিয়ে দিতে চাইছে।
শীলা দীক্ষিত মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন ২০১১-তে দিল্লির পুরসভা ভেঙে তিনটি পুরসভা গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। দিল্লি পুরসভার বদলে তৈরি হয় উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব দিল্লি পুরসভা। কেন্দ্রীয় সরকারি সূত্রের খবর, একটি পুরসভা ভেঙে তিনটি করার ফলে প্রশাসনিক খরচ বেড়েছে। পুরসভাগুলির আয়ে অসাম্য তৈরি হয়েছে। তিনটি পুরসভা মিশিয়ে শুধু একটি করে দেওয়া নয়, নতুন পুরসভার মেয়র ও মেয়র পারিষদদের ক্ষমতাও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। মেয়র ও মেয়র পারিষদ পদে সরাসরি নির্বাচন হতে পারে। সে ক্ষেত্রে মেয়রের প্রভাব কার্যত মুখ্যমন্ত্রীর সমান সমান হয়ে যাবে। সে দিকে ইঙ্গিত করে দিল্লির বিজেপি সাংসদ মনোজ তিওয়ারি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল ভয় পাচ্ছেন যে এ বার দিল্লির মেয়র তাঁর সঙ্গে টক্কর দেবেন।”
গত ৯ মার্চ রাজ্য নির্বাচন কমিশন পুরভোট ঘোষণার ঠিক আগে কেন্দ্রের তরফে কমিশনকে চিঠি দিয়ে তিনটি পুরসভা মিশিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানানো হয়। দিল্লির আপ-সরকারের মন্ত্রী গোপাল রাইয়ের বক্তব্য, তিনটি পুরসভা একত্রিত করা নিয়ে তাঁদের সমস্যা নেই। কিন্তু এই কাজ আগেই সেরে ফেলা যেত। বিজেপি বুঝে গিয়েছে, তারা পুরসভা হারবে।
বিজেপির তিওয়ারির পাল্টা যুক্তি, ভোট এখন না হলেও ছয় মাসের মধ্যেই হবে। বিজেপি হারের ভয় পাচ্ছে না। ২০১৫-তে আপ দিল্লিতে ৭০টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৬৭টিতে জিতে ক্ষমতায় এলেও তিন পুরসভার ভোটে হেরে গিয়েছিল।