হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়তের। ফাইল চিত্র।
চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়তকে নিয়ে ওড়া হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনায় পড়ার কারণ হিসেবে পাইলটের ভুলকে কারণ বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার ঠিক আগের যে ছবি স্থানীয়রা মোবাইলে তুলেছিলেন সেগুলি বিশ্লেষণ করেই বিশেষজ্ঞরা এই সিদ্ধান্তে এসেছেন।
ডিসেম্বরের ৮ তারিখে সস্ত্রীক জেনারেল রাওয়ত এবং ১১ জনকে নিয়ে সেনাবাহিনীর এমআই-১৭ভি৫ কপ্টারটি নীলগিরি পাহাড়ে ভেঙে পড়ে। গন্তব্যে পৌঁছনোর ৬-৮ মিনিট আগে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনার তদন্তে বেশ কয়েকটি দল গঠন করা হয়, যার মধ্যে একটি দেশের অন্যতম সেরা কপ্টার পাইলট এয়ার মার্শাল মানবেন্দ্র সিংহের নেতৃত্বে।
এই দলটি সব কিছু পরীক্ষা করে সিদ্ধান্তে আসেন, চালক হঠাৎই এমন কোনও সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যার ফলে কপ্টারটি নীলগিরি পাহাড় টপকে যাওয়ার বদলে সেই পাহাড়ে ধাক্কা মেরে ভেঙে পড়ে। এই ঘটনায় একমাত্র গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিংহকে জীবিত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যায়, যেখানে কয়েক দিন পরে তিনি মারা যান। বাকিরা কার্যত ঘটনাস্থলেই মারা যান।
স্থানীয়রা কপ্টারটির শেষ যে ছবি তোলেন, তাতে দেখা যায় এক রাশি কালো মেঘে ঢুকে যাচ্ছে জেনারেল রাওয়তের কপ্টারটি। তার পরেই সেটি কুন্নুরে নীলগিরি পাহাড়ের গায়ে ধাক্কা মারে। তদন্তকারী দল ভিডিয়োগুলির এক একটি ফ্রেম পরীক্ষা করে দেখেন, মেঘের মধ্যে ঢোকার পরেই কপ্টারটির শব্দ বদলে যাচ্ছে। এ থেকে তাঁরা সিদ্ধান্তে আসছেন, মেঘকে এড়িয়ে যেতে সম্ভবত আচম্বিতে উচ্চতা কমিয়েছিলেন পাইলট, যার ফলেই সামনের পাহাড়ে ধাক্কা খেতে হয় কপ্টারটিকে।
বিমানবাহিনীর দক্ষ পাইলটেরা প্রথম থেকেই বলছেন, জেনারেলকে নিয়ে ওড়া কপ্টারটিতে সম্ভবত কোনও ত্রুটি ছিল না। এই ধরনের হেলিকপ্টার খুবই ভরসাযোগ্য। অর্থাৎ ঘুরিয়ে তাঁরা পাইলটের ‘মানবিক ভুল’ নিয়েই প্রশ্ন তুলছিলেন। বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গড়া তদন্ত কমিটির পর্যবেক্ষণও সে দিকেই যাচ্ছে।