সিসিটিভি ফুটেজে শেষ বার জীবিত অবস্থায় দেখা যায় সৌরভ রাজপুতকে। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
হাতে খাবারের প্যাকেট। সেই প্যাকেট নিয়ে বন্ধুর বাইকে চেপে বাড়ি ফিরেছিলেন। তখনও তিনি জানতেন না পরের দিন আর ভোরের আলো দেখতে পাবেন না! কল্পনাতেও আসেনি যে স্ত্রীর জন্য তিনি খাবার নিয়ে এলেন, সেই স্ত্রীর হাতেই খুন হতে হবে তাঁকে। গত ৩ মার্চ রাত ১১টা ৪৯ মিনিটের একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। সেই ফুটেজেই শেষ বার মেরঠের মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ রাজপুতকে জীবিত অবস্থায় দেখা গিয়েছে।
কর্মসূত্রে লন্ডনেই থাকতেন সৌরভ। তবে কন্যা এবং স্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে গত মাসে মেরঠের বাড়িতে ফিরেছিলেন তিনি। ধুমধাম করে জন্মদিনও পালন করেন। গত ৩ মার্চ ভাড়াবাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে যান। সেখান থেকেই খাবার নিয়ে বন্ধুর বাইকে চেপে ভাড়াবাড়িতে ফেরেন সৌরভ। সেই বাড়িতেই থাকতেন স্ত্রী মুস্কান রস্তোগী এবং তাঁদের পাঁচ বছরের কন্যা। রাতে তিন জনে মিলে একসঙ্গে খাবারও খান। অভিযোগ, সুযোগ বুঝে স্বামীর খাবারের সঙ্গে কড়া মাত্রার ঘুমের ওষুধ এবং মাদক মিশিয়ে দেন মুস্কান।
সেই খাবার খেয়ে অচৈতন্য হয়ে পড়েন সৌরভ। বাজার থেকে কিনে আনা ছুরি দিয়ে হৃৎপিণ্ড ফালা ফালা করে দেন মুস্কান। তার পর বন্ধু সাহিল শুক্লাকে ফোন করে ডেকে আনেন। সাহিল এসে সৌরভের মাথা কেটে নেন বলে অভিযোগ। তার পর সারা রাত ধরে সৌরভের দেহ টুকরো করেন। বাজার থেকে কিনে আনা ড্রামে সেই টুকরো ভরেন। তার পর সিমেন্ট ভরে সেই ড্রামের মুখ আটকে দেন।
সৌরভের দেহ উদ্ধারের পর থেকেই শোরগোল পড়েছে। প্রায়ই মেরঠ হত্যাকাণ্ডে কোনও না কোনও নতুন তথ্য প্রকাশ্যে আসছে। এ বার রাতের সেই সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজও তদন্তকারীদের আতশকাচের নীচে এল। কোন বন্ধুর বাইকে চেপে সৌরভ সেই রাতে বাড়ি ফিরেছিলেন, তা প্রকাশ্যে আসেনি। পুলিশ তাঁর সম্পর্কে খোঁজখবর শুরু করেছে। পাশাপাশি, ওই এলাকার অন্যান্য সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে বলেও খবর।