—প্রতীকী ছবি।
ছোট্ট দোকানে ফলের রস বিক্রি করে সংসার চালান। আলিগড়ের বাসিন্দা সেই ব্যবসায়ীকে কয়েক কোটি টাকা বেআইনি লেনদেনের অভিযোগে চিঠি ধরাল আয়কর দফতর। ফলের রসবিক্রেতা মহম্মদ রইস ৭.৭৯ কোটি টাকা লেনদেনের জন্য আয়কর নোটিস পেয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর। সেই চিঠি পাওয়ার পর হতবাক হয়ে গিয়েছেন রইস ও তাঁর পরিবার। উত্তরপ্রদেশের সারাই রেহমানের তারওয়ালির বাসিন্দা এবং দিওয়ানি কাছারিতে একটি ফলের রসের দোকানের মালিক রইস। আয়কর বিভাগের আধিকারিক নৈন সিংহের কাছ থেকে একটি চিঠি পেয়েছেন তিনি। সেখানে কয়েক কোটি টাকার হিসাব-বহির্ভূত লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। আয়কর দফতরের দেওয়া চিঠিতে তাঁর প্যান কার্ড ব্যবহার করে প্রায় ৮ কোটি টাকার লেনদেনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
রইসের প্যান কার্ডটি আয়কর বিভাগের সার্ভার থেকে তৈরি করা হয়েছিল। তদন্তে জানা গিয়েছে, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে রইসের প্যান কার্ডের সঙ্গে যুক্ত হিসাব বলছে, তাতে ৭.৭৯ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এর ফলে ওই বৃদ্ধের নামে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। রইস তাঁর চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের (সিএ) মাধ্যমে আয়কর বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে কর প্রত্যাহারের দাবি পেশ করেছেন। সেখানকার আধিকারিকেরা জানান, প্যান কার্ডটি নিয়ম অনুসারে ব্যবহার করা হয়েছে এবং রইসকে অবশ্যই চিঠি দিয়ে এই লেনদেনের কারণ জানাতে হবে। তাঁরা পরামর্শ দেন যে, রইসের পক্ষ থেকে জালিয়াতি এবং প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করা উচিত। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে কেলেঙ্কারির নেপথ্যের মূল পরিকল্পনাকারীকে খুঁজে বার করা সহজ হবে।