ছবি : টুইটার থেকে।
বড় সাদা গাড়িটি রাস্তার মোড় ঘুরতেই পাশ থেকে চলে এলেন জনা তিনেক যুবক। তার পরই সটান গাড়ির কাচ লক্ষ্য করে গুলি। রাউন্ডের পর রাউন্ড। একটুও না থেমে, হাত আলগা না করে, গাড়ি থেকে বড়জোর হাত খানেকের দূরত্বে দাঁড়িয়ে তাঁরা যে ভাবে গুলি চালাচ্ছিলেন, তাতে মনে হচ্ছিল না কোনও দুষ্কর্ম করছেন। বরং যেন এটাই হওয়ার ছিল।
তখন ভর সন্ধে। পূর্ব দিল্লির রাস্তায় তখন অনেক গাড়ি। আক্রান্ত গাড়িটি মাঝ রাস্তাতেই দাঁড়িয়ে পড়েছিল। তিন যুবককে দেখা যাচ্ছিল গাড়িটির একেবারে সামনে গিয়ে টানা গুলি চালাতে। পাশে অন্য গাড়ি চলে এলে অবশ্য থেমে যাচ্ছিলেন তাঁরা। পিছিয়েও আসছিলেন। কিন্তু তারপরই আবার চলছিল গুলি। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া ভিডিয়ো দেখে পুলিশ জানিয়েছে, অন্তত ১০ থেকে ১৫ রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে এ ভাবে। তবে প্রকাশ্যে কারও পরোয়া না করে এ ভাবে গুলি চালানোর সাহস কী ভাবে পেলেন ওই যুবকেরা, তা দেখে অবাক হয়েছেন অনেকেই।
পূর্ব দিল্লির সুভাষ নগরের ওই ঘটনাটি শনিবারের। ওই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন কেশোপুর সব্জি মান্ডি ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অজয় মান্ডি এবং তাঁর ভাই যশবন্ত। দু’জনকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। খুনের চেষ্টার ওই ঘটনায় তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ। তবে ঘটনাটির সিসিটিভি ফুটেজটি প্রকাশ্যে এসেছে রবিবার। যা নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, গাড়িটির উপর দুষ্কৃতীদের হামলার বেশ কিছু ক্ষণ পর গাড়িটি হঠাৎই চলতে শুরু করে এবং বেশ দ্রুতগতিতে এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যায়। সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা সেই চলন্ত গাড়িটিকে ধাওয়া করে গুলি চালাতে চালাতে ছুটছেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ঘটনাটি দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব সংক্রান্ত কিংবা ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণেও হতে পারে। এই ঘটনার নেপথ্যে জেলে থাকা এক অপরাধী সলমন ত্যাগী থাকতে বলে অনুমান পুলিশের।