ভাইরাল হওয়া সেই অধ্যায়। — ফাইল চিত্র।
নবম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ‘ডেটিং’ সম্পর্কিত পাঠ দেওয়া হবে বলে যে খবর ছড়িয়েছিল, তা সম্পূর্ণ ‘ভুল এবং ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করল সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই)। গত কয়েক দিন ধরে সমাজমাধ্যমে একটি বইয়ের অধ্যায়ের ছবি ছড়িয়ে পড়েছিল। দাবি করা হচ্ছিল, ওই বইটি সিবিএসই-র। তবে শনিবার সেই দাবি নস্যাৎ করে বিবৃতি জারি করেছে সিবিএসই।
শনিবার এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করে সিবিএসই-র পক্ষ থেকে বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বোর্ডের প্রকাশনা বলে দাবি করে যে বইয়ের কথা উল্লেখ করা হচ্ছিল, তা সম্পূর্ণ ভুল। সেই সংক্রান্ত খবরও ভিত্তিহীন।
ভাইরাল হওয়া ছবি কোন বইয়ের এবং কোন প্রকাশনা সংস্থা থেকে প্রকাশ করা হয়েছে, সে বিষয়েও পোস্টে উল্লেখ করেছে সিবিএসই। তাদের কথায়, যে অধ্যায়গুলির কথা বলা হচ্ছে, সেগুলি ‘আ গাইড টু সেলফ্ অ্যাওয়ারনেস অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট’ নামক এক বইয়ের। বই়টি গগনদীপ কউরের লেখা। ‘জি রাম বুকস প্রাইভেট লিমিটেড এডুকেশনাল পাবলিশার্স’ নামক প্রকাশনা সংস্থা থেকে বই়়টি প্রকাশিত হয়েছে। আরও জানানো হয়েছে, সিবিএসই কোনও বই প্রকাশ করে না। শুধু তাই নয়, তারা কোনও বেসরকারি প্রকাশকের বইও সুপারিশ করে না।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে একটি বইয়ের অধ্যায়ের ছবি ছড়িয়ে পড়েছিল। সেখানে দাবি করা হয়েছিল, সিবিএসই নবম শ্রেণির সিলেবাসে এমন বিষয় যোগ করেছে, যাতে ‘ডেটিং’, ‘সম্পর্কের জটিলতা’ ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এই পদক্ষেপকে সাধুবাদও জানিয়েছিলেন অনেকে। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন অভিভাবক।
অনেকে দাবি করেছিলেন, ডিজিটাল যুগে এখন কিশোর-কিশোরীরা এমন অনেক বিষয় সম্পর্কেই জেনে ফেলে, যা বছর দশেক আগেও ভাবা যেত না। কিন্তু শুধু বিষয়গুলি জানলেই হবে না, সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকাও প্রয়োজন। কিন্তু সেই সব বিষয় নিয়ে স্পষ্ট ধারণা না থাকায় ভুল পথে পরিচালিত হয় অনেকেই। স্কুল জীবনেই যদি সম্পর্কের এই সব জটিলতার ব্যাপারে পড়ুয়ারা জ্ঞান লাভ করে, তবে অনেক অপরাধ বা আত্মহত্যার মতো ঘটনা আটকানো সম্ভব হবে বলেও মত প্রকাশ করেছিলেন কেউ কেউ। কিন্তু সিবিএসই জানায়, এমন কোনও বই তারা প্রকাশ করেনি।