—প্রতীকী ছবি।
এক লাফে আর দ্বাদশ শেণির পরীক্ষা নয়, স্কুলের গণ্ডি পেরোতে হলে ফের দু’বার বোর্ডের পরীক্ষায় বসতে হবে সিবিএসই ছাত্রছাত্রীদেরও। কারণ, শিক্ষার মান বজায় রাখতে এ বার থেকে দশম শ্রেণিতেও বোর্ডের পরীক্ষা ফেরাতে চলেছে সিবিএসই। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ২৫ অক্টোবর বিষয়টি আনুষ্ঠানিক ভাবে জানানোর কথা কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের। ২০১৮ সাল থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে পারে। সে ক্ষেত্রে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই হবে প্রকাশের প্রথম বড় পদক্ষেপ।
২০০৯ সাল পর্যন্ত সিবিএসই পড়ুয়াদের দশম শ্রেণি থেকে একাদশে উত্তীর্ণের জন্য বোর্ডের পরীক্ষায় বসতে হত। পড়ুয়াদের উপর থেকে চাপ কমানোর জন্য ২০১০ সাল থেকে সেই পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে সিবিএসই পড়ুয়াদের কেবলমাত্র দ্বাদশ শ্রেণিতেই বোর্ডের পরীক্ষায় বসতে হয় এখন। পরে বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা যায়, এর ফলে স্কুলছুটের সংখ্যা কমলেও পড়ুয়াদের মধ্যে শিক্ষার মান হ্রাস পাচ্ছে। তাই বিভিন্ন রাজ্যের শিক্ষক শিক্ষিকা এবং অভিভাবকদের থেকে প্রতিক্রিয়া নিয়ে সিবিএসই-তে দশম শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষা পুনরায় চালু করার কথা ভাবছে কেন্দ্র। শুধু তাই নয়, পড়ুয়াদের উপরে যাতে খুব বেশি চাপ না পড়ে, উপরন্তু শিক্ষার মানও বজায় থাকে, সে দিকেও নজর রাখছে কেন্দ্র। তার জন্য পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাশ-ফেল প্রথা পুরোপুরি তুলে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। কিন্তু ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুলের পরীক্ষায় কোনও পড়ুয়া উত্তীর্ণ না হতে পারলে, তাকে আরও একবার পরীক্ষার সুযোগ দেওয়া হবে। তবে দ্বিতীয়বারও যদি কোনও পড়ুয়া পরীক্ষাতে ফেল করে তাহলে তাকে পরবর্তী শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা হবে কি না তা নিয়ে এখনও দোলাচল রয়েছে।
দশম শ্রেণিতে বোর্ডের পরীক্ষা এবং পাশ-ফেল— এই দু’টি সিদ্ধান্তই অবশ্য এখনও কেন্দ্রের চিন্তাভাবনার পর্যায়েই রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষা উপদেষ্টা পর্ষদ (সিএবিই)-এর সঙ্গে মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের বৈঠক রয়েছে সামনে। সেই বৈঠকেই নতুন পরীক্ষানীতি বা পাশ-ফেল নীতির চূড়ান্ত খসড়া তৈরি হবে বলে খবর।