ছবি সংগৃহীত
সিবিএসই দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য বৈঠকে মিলল না রফাসূত্র। চলতি বছরে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের বাড়বাড়ন্তে সিবিএসই বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা আদৌ হবে কি না বা হলেও কী প্রক্রিয়ায় তা হবে, সে ব্যাপারেই সিদ্ধান্ত নিতে রবিবার বৈঠকের ডাক দিয়েছিল কেন্দ্র। সেই বৈঠকেই উঠে এসেছে দু’টি প্রস্তাব। রাজ্যগুলিকে বলা হয়েছে, তারা পছন্দমতো বিকল্প বেছে নিতে পারে। কিছু কিছু রাজ্য অবশ্য তৃতীয় বিকল্পেরও দাবি জানিয়েছে। তবে সূত্রের খবর, পরীক্ষা পুরোপুরি বাতিল হবে না। জুলাই মাসেই কোভিড বিধি মেনে হতে পারে পরীক্ষা।
যে দু’টি প্রস্তাব উঠে এসেছে, তার মধ্যে একটিতে বলা হয়েছে, কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। সিবিএসই আগেই এমন প্রস্তাব দিয়েছিল। অন্য প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সব বিষয়ের উপরেই পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে, তবে পরীক্ষায় সময়সীমা তিন ঘণ্টার পরিবর্তে কমিয়ে দেড় ঘণ্টা করা হোক। এমসিকিউ এবং ছোট প্রশ্নের উপর বেশি জোর দেওয়া হোক। দিল্লি এবং মহারাষ্ট্রের তরফে জানানো হয়েছে, এই পরিস্থিতি তারা পরীক্ষা নেওয়ার কথা ভাবছেই না। অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ণের ভিত্তিতে পাশ, ফেলের বিচারের পক্ষে তারা।
গত এপ্রিল মাসেই সিবিএসই বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র। তার পর এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। রবিবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্র্রী রাজনাথ সিংহ, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল, কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এবং কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। বৈঠকে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষাসচিবদের থাকতে বলা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, পড়ুয়া, তাঁদের অভিভাবক, শিক্ষক-সহ সংশ্লিষ্ট সমস্ত পক্ষকেই এ বিষয়ে নেটমাধ্যমে পরামর্শ দিতে বলা হয়েছিস। বৈঠক শেষে রাজনাথ সিংহ বলেন, ‘‘এই বৈঠক শুধু পরামর্শ আদানপ্রদানের বৈঠক ছিল। যা প্রস্তাব উঠে এসেছে, তা নিয়ে আরও উঁচু পর্যায়ে আলোচনা হবে। প্রধানমন্ত্রীকেও জানানো হবে। নির্ধারিত ১ জুন বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা হবে। তার পরেই পরীক্ষার দিনক্ষণ নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’’