সুপ্রিম কোর্টে পাল্টা হলফনামা পেশ করতে পারেন রাজীব

মঙ্গলবার ওই হলফনামায় সিবিআই অভিযোগ করে, রাজীব কুমার সারদা মামলায় প্রধান অভিযুক্তদের মোবাইল ফোনের যে ‘কল ডিটেলস রেকর্ড’ (সিডিআর) সিবিআইকে দিয়েছেন, সেগুলির অনেকটাই ‘বিকৃত এবং ভুয়ো’।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:৩২
Share:

সিবিআই-কে চিঠি লিখলেন কমিশনার রাজীব কুমার। —ফাইল চিত্র

সুপ্রিম কোর্টে শীঘ্রই পাল্টা হলফনামা জমা দিতে পারেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই সারদার তদন্ত নিয়ে যে হলফনামা জমা দিয়েছে, তার বক্তব্য নিয়ে তাঁর আপত্তি রয়েছে। সে কারণে পাল্টা হলফনামা জমা দিয়ে তাঁর বক্তব্য জানাতে পারেন।

Advertisement

মঙ্গলবার ওই হলফনামায় সিবিআই অভিযোগ করে, রাজীব কুমার সারদা মামলায় প্রধান অভিযুক্তদের মোবাইল ফোনের যে ‘কল ডিটেলস রেকর্ড’ (সিডিআর) সিবিআইকে দিয়েছেন, সেগুলির অনেকটাই ‘বিকৃত এবং ভুয়ো’। পাল্টা হলফনামা দিয়ে সিপি জানাতে পারেন, ওই সিডিআর সার্ভিস প্রোভাইডারের কাছ থেকেই পাওয়া যেত। তাঁর কাছ থেকে ওই রেকর্ড নেওয়ার কী প্রয়োজন ছিল? তা ছাড়া, যে সময় ওই সিডিআর চাওয়া হয়, সেই সময় তিনি কলকাতা পুলিশের কমিশনার পদে। ফলে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট বা ‘সিট’এর অন্য সদস্যদের কাছ থেকেও ওই সিডিআর নেওয়া যেত।

এ ছাড়া, সিবিআইয়ের হলফনামায় রাজীব কুমারকে সারদা মামলার তদন্তের জন্য গঠিত ‘সিট’-এর কার্যনির্বাহী প্রধান বলা হয়েছে। সিপি জানাতে পারেন, তিনি ওই সিটের কার্যনির্বাহী প্রধান ছিলেন না।

Advertisement

আরও পড়ুন: রবার্ট বঢরাকে ইডি-র জেরা ছ’ঘণ্টা, স্বামীর পাশে আছি, বললেন প্রিয়ঙ্কা

এ দিকে, রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে পদক্ষেপ করার পরামর্শ সম্বলিত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের চিঠি এখনও পর্যন্ত হাতে পায়নি রাজ্য সরকার। বুধবার নবান্ন থেকে বেরনোর সময় এমনই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের শিল্প সম্মেলন, বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট নিয়ে বৈঠকের সময়েও মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিবকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, চিঠি এসেছে কি না। চিঠি এলে মুখ্যসচিব এবং স্বরাষ্ট্রসচিব নিশ্চয় জবাব দেবেন। এ দিন বিকেল তিনটে পর্যন্ত চিঠি পাননি মুখ্যসচিব।’’

শৃঙ্খলাভঙ্গের প্রশ্নে কেন্দ্রের পদক্ষেপ প্রসঙ্গে প্রশাসনের একাংশের যুক্তি ভিন্ন। তাঁদের দাবি, সার্ভিস রুল ভঙ্গ করেননি কলকাতার পুলিশ কমিশনার-সহ পুলিশের বাকি অফিসারেরা। কারণ, রাজীব কুমার বা বাকি অফিসারেরা ধর্নামঞ্চে ওঠেননি। রাস্তাতেই বসেছিলেন। এ ছাড়া, ওই পুলিশ অফিসারদের উপস্থিতি মুখ্যমন্ত্রীর মতো ভিআইপি-র নিরাপত্তার সঙ্গে সঙ্গে সম্পর্কিত। ফলে তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করা যুক্তিযুক্ত নয়।

আরও পড়ুন: লড়াই এ বার রাজধানীতে, বিজেপিকে উৎখাত করতে বিরোধী সমাবেশে দিল্লি যাচ্ছেন মমতা​

প্রশাসনিক সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের হয়ে সওয়াল করতে পারেন অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি, কপিল সিব্বল এবং সিদ্ধার্থ লুথরা। সুপ্রিম কোর্টে পৃথক ভাবে মুখ্যসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে তাঁদের বক্তব্য জানাতে হবে। সম্ভবত সেই কারণেই তিনজন আইনজীবীকে নিয়োগ করেছে রাজ্য।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement