সিবিআই জেরার মুখে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী। — ফাইল ছবি।
একটানা ৮ ঘণ্টা সিবিআই জেরার মুখে পড়লেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা লালুপ্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বী যাদব। দিল্লি হাই কোর্টে তেজস্বীর আইনজীবী জানিয়েছিলেন, ২৫ মার্চ, শনিবার তিনি যাবেন সিবিআই দফতরে। সিবিআই সেই সময় জানিয়েছিল, তেজস্বীকে গ্রেফতার করার কথা ভাবা হচ্ছে না। অন্য দিকে ৭ ঘণ্টা ইডির জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়লেন লালু-কন্যা মিসা ভারতীও।
আদালতে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সিবিআইয়ের সদর দফতরে পৌঁছে যান তেজস্বী। তার পর শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। তবে মাঝখানে দেড় ঘণ্টার মধ্যাহ্নভোজের বিরতি পান তিনি। সূত্রের খবর, মধ্যাহ্নভোজ সারতে সিবিআইয়ের সদর দফতর থেকে বেরোন তেজস্বী। তার পর আবার ফিরে আসেন। আবার শুরু হয় জি়জ্ঞাসাবাদ। রাত ৮টা নাগাদ সিবিআই অফিস থেকে বেরিয়ে যান বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, তেজস্বীকে তাঁর অর্থনৈতিক লেনদেন নিয়ে একাধিক প্রশ্ন করেন তদন্তকারীরা।
প্রসঙ্গত, লালুপ্রসাদ রেলমন্ত্রী থাকাকালীন জমির বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, রেলে চাকরি পাইয়ে দিয়ে জলের দরে জমি কিনেছিলেন যাদব পরিবারের কয়েক জন সদস্য। সেই মামলাতেই লালুপ্রসাদ, তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং কন্যা মিসাও অভিযুক্ত। গত ১৫ মার্চ সিবিআই আদালত তাঁদের তিন জনকেই জামিন দেয়। প্রসঙ্গত, এর আগে তিন বার সিবিআইয়ের সমন উপেক্ষা করেছিলেন তেজস্বী। সম্প্রতি এ নিয়ে তিনি দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। আদালত তাঁকে সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই সময় তেজস্বীর আইনজীবী জানান, ২৫ মার্চ তাঁর মক্কেল যাবেন সিবিআই দফতরে। সে কথা শুনে সিবিআইয়ের কৌশুলি জানিয়ে দেন, তাঁরা এই মাসে তেজস্বীকে গ্রেফতারির কথা ভাবছেন না। তার পরেই শনিবার সকালে সিবিআই দফতরে হাজির হন তেজস্বী। দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা তাঁকে জেরা করা হয়। রাত ৮টা নাগাদ সিবিআই অফিস থেকে বেরিয়ে তেজস্বী চলে যান হাসপাতালে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। তেজস্বীর স্ত্রী সন্তানসম্ভবা।
একই মামলায় শনিবার ইডির জেরার মুখে পড়েছেন তেজস্বীর দিদি মিসাও। তাঁকে একটানা ৭ ঘণ্টা জেরা করে ইডি। তবে তেজস্বী বা মিসাকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে কি না তা এখনও পরিষ্কার নয়।