লালু-পত্নী রাবড়ীর বাড়িতে সিবিআই হানা। ফাইল চিত্র।
সোমবার সকালে লালুপ্রসাদ যাদবের স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ী দেবীর বাড়িতে হানা দিলেন সিবিআই আধিকারিকেরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি সূত্রে জানা গিয়েছে, জমি বেচে চাকরি দুর্নীতিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এই আরজেডি নেত্রীকে। ইতিমধ্যেই পটনায় রাবড়ীর বাড়ির সামনে বহু পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাবড়ীর পুত্র তথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব বর্তমানে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী। সম্প্রতি সিবিআই এবং ইডির মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করে বিরোধীদের হেনস্থা করা হচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন ৯ বিরোধী নেতানেত্রী। তাঁদের মধ্যে ছিলেন তেজস্বীও। ঘটনাচক্রে এই চিঠি পাঠানোর পরেই তেজস্বীর মা রাবড়ীর বাড়িতে হানা দিল সিবিআই।
২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত লালু প্রথম ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী থাকাকালীন বিহারের বহু যুবককে জমির বিনিময়ে রেলের গ্রুপ ডি পদে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল ওঠে মূলত লালুর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ী দেবী এবং তাঁদের দুই কন্যা মিসা এবং হেমার বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্তে গত বছরের ২০ মে সিবিআই পটনা, দিল্লি-সহ দেশের মোট ১৫টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল। এর পর অগস্টে অভিযান চালানো হয় আরজেডির একাধিক নেতার বাড়িতে।
ফেব্রুয়ারি মাসে ‘জমির বিনিময়ে চাকরি’ মামলায় আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ, তাঁর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ী দেবী-সহ মোট ১৬ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সমন জারি করে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। সিবিআইয়ের পেশ করা চার্জশিটের ভিত্তিতে আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে লালুদের জবাব তলব করা হয়।
গত ২২ অক্টোবর ‘জমির বদলে চাকরি’ দুর্নীতি মামলায় লালুপ্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। চার্জশিটে লালুপ্রসাদ ছাড়াও লালু-পত্নী রাবড়ী দেবী, লালুর দুই কন্যা মিসা ভারতী এবং হেমা যাদবের নামও রয়েছে। এ ছাড়াও আরও ১২ জনের নাম রয়েছে চার্জশিটে। সিবিআইয়ের তরফে দাবি করা হয়, লালুপ্রসাদ রেলমন্ত্রী থাকার সময় বিভিন্ন ‘অযোগ্য’ ব্যক্তিকে মুম্বই, জব্বলপুর, কলকাতা-সহ রেলের বিভিন্ন জ়োনে চাকরি পাইয়ে দেন। অবৈধ উপায়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা টাকা বা জমি নিয়েছিলেন লালুর পরিবারের সদস্যেরা এবং ঘনিষ্ঠ নেতারা।