নজিবের খোঁজ বন্ধ করে দিল সিবিআই

২০১৬ সালের ১৫ অক্টোবর জেএনইউ-এর মাহি-মাণ্ডবী হস্টেল থেকে নিখোঁজ হন নজিব। অভিযোগ, আগের দিন রাতে সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র বেশ কয়েক জন সমর্থকের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:২০
Share:

দু’বছর আগে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিলেন সেখানকার ছাত্র নজিব আহমেদ। অবশেষে জেএনইউয়ের সেই ছাত্রকে খোঁজার কাজ বন্ধ করে দিল সিবিআই। সোমবার দিল্লি হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে এ ব্যাপারে ক্লোজার রিপোর্ট দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে।

Advertisement

নজিবের মা ফতিমা নাফেজ তদন্তে নজরদারির জন্য বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গড়ার আর্জি জানিয়েছিলেন। হাইকোর্ট সেই আবেদনেও সাড়া দেয়নি। ছেলেকে খুঁজে দিতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়ার জন্য ২০১৬ সালের নভেম্বরে হাইকোর্ট আর্জি জানিয়েছিলেন নিঁখোজ ছাত্রের মা। বিচারপতি এস মুরলীধর ও বিচারপতি বিনোদ গয়ালের বেঞ্চ এ দিন বলেছে, ফতিমা যদি তদন্তের স্ট্যাটাস রিপোর্ট চান, তা হলে তাঁকে দায়রা আদালতে যেতে হবে।

গত বছরের মে মাস নাগাদ নজিবের খোঁজ শুরু করেছিল সিবিআই। প্রায় দেড় বছর ধরে তদন্ত চালানোর পরে তারা জানিয়েছে, মামলার সব দিক খতিয়ে দেখা হয়েছে। তবে নজিবের বিরুদ্ধে কোনও অপরাধমূলক কাজ হয়েছে— এমন প্রমাণ মেলেনি। সিবিআইয়ের আগে দিল্লি পুলিশও বেশ কয়েকমাস নজিবের অন্তর্ধান রহস্য নিয়ে তদন্ত করে কোনও সূত্র খুঁজে বের করতে পারেনি। তার পরেই বিষয়টি হাতে নিয়েছিল সিবিআই।

Advertisement

২০১৬ সালের ১৫ অক্টোবর জেএনইউ-এর মাহি-মাণ্ডবী হস্টেল থেকে নিখোঁজ হন নজিব। অভিযোগ, আগের দিন রাতে সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র বেশ কয়েক জন সমর্থকের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। আদালতে ফতিমার আইনজীবী বলেন, সিবিআই রাজনৈতিক চাপের কাছে নতিস্বীকার করেছে। এর আগেও তিনি অভিযোগ এনেছিলেন, নজিবের উপরে হামলার সাক্ষী ১৮ জন পড়ুয়া যে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, তাতে ৯ জনের নাম দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ওই অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদই করা হয়নি। ওই ৯ জন অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement