(বাঁ দিক থেকে) ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন, অভিষেক বচ্চন, সলমন খান। ছবি: সংগৃহীত।
কিছু সম্পর্ক ভেঙে গেলেও তাঁদের নিয়ে চর্চা ফুরোয় না। ঠিক যেমনটা হয়েছে সলমন খান ও ঐশ্বর্যা রাইয়ের ক্ষেত্রে। ১৯৯৯ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল ‘হম দিল দে চুকে সনম’ ছবিটি। সঞ্জয় লীলা ভন্সালী পরিচালিত এই ছবির সেট থেকেই বন্ধুত্ব সলমন এবং ঐশ্বর্যার। সেই বন্ধুত্ব থেকেই ক্রমে প্রেম। তবে সলমন এবং ঐশ্বর্যার সম্পর্ক বেশি দিন টেকেনি। অভিনেত্রীর দাবি, সলমন নাকি তাঁর উপর অধিকারবোধ খাটাতেন। এমনকি ঐশ্বর্যার গায়ে হাত তুলতেন সলমন, এমনও কানাঘুষো শোনা যায়। সলমনের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বিবেক ওবেরয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হন অভিনেত্রী। সেই সম্পর্কেও ফাটল ধরে। এর পর অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে তাঁর প্রেমের সূত্রপাত। ২০০৭ সালে অভিষেকের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন অভিনেত্রী। অনেকেই ভেবেছিলেন প্রাক্তন প্রেমিকার উপর ক্ষোভ পুষে রেখেছেন সলমন। তবে অভিষেককে নিয়ে কী বলেছিলেন ভাইজান?
বলিউডে সঙ্গীতা বিজলানি, ঐশ্বর্যা থেকে ক্যাটরিনা কইফের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন সলমন। কিন্তু কোনও সম্পর্কই স্থায়ী হয়নি ভাইজানের। তবে সব থেকে বেশি চর্চা হয়েছে ঐশ্বর্যাকে নিয়ে। বিয়ের পর কখনও সলমনের নাম পর্যন্ত মুখে আনেননি অভিনেত্রী। তবে বছর কয়েক আগে টেলিভিশন চ্যানেলের এক শোয়ে ঐশ্বর্যাকে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সলমনের সাফ কথা, ব্যক্তিগত জীবন তিনি ব্যক্তিগতই রাখতে চান। তবে ঐশ্বর্যার স্বামী অভিষেক বচ্চনের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘‘আমি সব সময়ই সেই মানুষটাকে সুখী দেখতে চেয়েছি। খুব ভাল পরিবারে ওঁর বিয়ে হয়েছে। অভিষেক খুব ভাল ছেলে। প্রাক্তন প্রেমিক হিসাবে এর থেকে বেশি কি-ই বা চাইতে পারি! বন্ধুত্ব ভেঙে গেলে যে অন্য দিকের মানুষটার খারাপ চাইতে হবে এমন তো নয়।’’