সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
তাঁর এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডল থেকে ‘উস্কানিমূলক’ পোস্ট করা হচ্ছে বলে ইলন মাস্কের সংস্থায় পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ নালিশ করেছে। এমনই অভিযোগ করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। শুক্রবার সেলিম দাবি করেছেন, তাঁকে এক্স কর্তৃপক্ষ ইমেল করে বিষয়টি জানিয়েছেন। পাশাপাশিই সেলিম বলেন, ‘‘আমায় ইমেল করে এক্স কর্তৃপক্ষ বলেছেন, তাঁরা কোনও ত্রুটি খুঁজে পাননি। আমাকে আইনি পরামর্শ নিতেও বলেছেন তাঁরা।’’
এই ঘটনার সূত্রে আবার বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলকে জুড়ে দেখাতে চেয়েছেন সেলিম। তাঁর কথায়, ‘‘দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদী যা করছেন, উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ যা করছেন, এখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশও একই কাজ করছে! পুলিশ চাইছে প্রতিবাদকে স্তব্ধ করতে।’’ সেলিমের অভিযোগ নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করেছে তৃণমূলও। রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘‘উনি উস্কানি ছড়ালে পুলিশ কি আঙুল চুষবে নাকি?’’
সেলিমের বক্তব্য, আরজি কর পর্বে তাঁর কয়েকটি পোস্ট নিয়ে পুলিশ ওই পদক্ষেপ করেছে। তাঁর কথায়, ‘‘পুলিশ বলেছে, আমি নাকি বলেছি তারা গোটা ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালাতে চেয়েছে। আমি কখনওই এমন কিছু বলিনি। আমি বলেছি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নির্যাতিতার পরিবারকে ফোন করে এক বার বলেছেন অসুস্থ, এক বার বলেছেন সুইসাইড (আত্মহত্যা)।’’ সেলিম আরও বলেন, ‘‘পুলিশ পুরোটাই নিজের গায়ে মাখছে। যেন ঠাকুর ঘরে কে, আমি তো কলা খাইনি!’’ শুক্রবার আলিমুদ্দিনে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে সেই সংক্রান্ত কয়েকটি অডিয়ো ক্লিপও শোনান সেলিম। (যদিও সেগুলির সত্যতা আনন্দবাজার অনলাইন যাচাই করেনি।) প্রসঙ্গত, আরজি কর পর্বে হুমকি-অডিয়ো মামলায় সিপিএমের যুব নেতা কলতান দাশগুপ্তকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পরে অবশ্য তিনি জামিন পেয়েছেন। সেই মামলার সূত্রেই সপ্তাহখানেক আগে সেলিমের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত সঞ্জয় ঘোষ ওরফে বাপ্পা নামের এক ব্যক্তির মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছে সল্টলেক কমিশনারেটের অধীন ইলেক্ট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানা। গোটা বিষয়টিকে একই সঙ্গে জুড়ে দেখাতে চেয়েছেন সেলিম। যদিও তৃণমূল সিপিএম রাজ্য সম্পাদকের অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে চাইছে না। শাসকদলের বক্তব্য, সিপিএম মহাশূন্যের পথে হাঁটছে। তাই এই সব বলে ভেসে থাকার মরিয়া চেষ্টা করছে।