Corruption Case

বিএসএনএলে ২২ কোটির কারচুপি! ২১ জন কর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তল্লাশি সিবিআইয়ের

তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, এক ঠিকাদারের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে একটি কাজের জন্য বরাদ্দ টাকায় কারচুপি করেন অভিযুক্ত আধিকারিকরা। যার ফলে বিএসএনএলের প্রায় ২২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ জুন ২০২৩ ০৮:৫১
Share:

বিএসএনএলের এই ২১ জন আধিকারিক অসমে কর্মরত ছিলেন। ফাইল চিত্র ।

দুর্নীতির অভিযোগ এনে ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড (বিএসএনএল)-এর প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার-সহ ২১ আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। শুক্রবার এই মামলা সংক্রান্ত ২৫টি জায়গায় তল্লাশিও চালান সিবিআই আধিকারিকরা। তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, এক ঠিকাদারের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে একটি কাজের জন্য বরাদ্দ টাকায় কারচুপি করেন অভিযুক্ত আধিকারিকরা। যার ফলে বিএসএনএলের প্রায় ২২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

Advertisement

তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, বিএসএনএলের এই ২১ জন আধিকারিক অসমে কর্মরত ছিলেন। এই তালিকায় এক জন প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার, অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার এবং জোরহাট, শিবসাগর, গুয়াহাটি-সহ বিভিন্ন জায়গার চিফ অ্যাকাউন্টস অফিসাররা রয়েছেন। এফআইআরে অভিযুক্ত আধিকারিকরা বাদে এক ঠিকাদারের নাম উল্লেখ রয়েছে যিনি বিসিএনএলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নন বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে।

সিবিআই মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘এক জন ঠিকাদারকে অপটিক্যাল ফাইবারের কাজ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ ওঠে, ওই ঠিকাদার নিজের কাজ ঠিক ভাবে করেননি। উপরন্তু তিনি বিভিন্ন অছিলায় সংস্থার কাছে অতিরিক্ত টাকা নিয়েছেন। এই ঘটনায় ওই ২১ আধিকারিক যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ। এর ফলে বিএসএনএলের প্রায় ২২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।”

Advertisement

এফআইআর দায়েরের পরে সিবিআই শুক্রবার অসম, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং হরিয়ানায় অভিযুক্তদের অফিস এবং বাসস্থান-সহ ২৫টি স্থানে তল্লাশি চালিয়েছে বলেও সিবিআই সূত্রে জানিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement