ফািল চিত্র
ইশরাত জহান ভুয়ো সংঘর্ষ মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে অভিযুক্ত চার পুলিশ অফিসারের আর্জি খারিজ করল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা চালানোর জন্য সিবিআইকে গুজরাত সরকারের অনুমতি নিতে বলেছে আদালত।
রাজ্যের অনুমতি না-মেলায় এই মামলায় অভিযুক্ত তিন পুলিশ অফিসার ডি জি বানজারা, এন কে আমিন এবং পি পি পাণ্ডের বিরুদ্ধে মামলা আগেই তুলে নিয়েছিল আদলত। এ বারের আবেদনকারী চার জন, আইপিএস অফিসার জি এল সিঙ্ঘল, প্রাক্তন ডিএসপি তরুণ বারোট, সাব-ইনস্পেক্টর অনজু চৌধরি এবং অবসরপ্রাপ্ত ডিএসপি জে জি পারমার। সম্প্রতি পারমার মারা গিয়েছেন।
মামলা তুলে নেওয়ার জন্য এই পুলিশ অফিসারদের আর্জি খারিজের পাশাপাশি বিচারক ভি আর রাওয়াল জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের অনুমতি আদায়ে কোনও পদক্ষেপ এখনও করেনি সিবিআই। কিন্তু চাকরির সূত্রে কোনও সরকারি কর্মী অভিযুক্ত হলে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চালাতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৯৭ ধারায় সরকারের সবুজ সঙ্কেত জরুরি। বস্তুত, চার পুলিশও তাঁদের আর্জিতে বলেছেন, গত বছর অভিযুক্ত অন্য পুলিশদের বিরুদ্ধে মামলা তোলা হয়েছিল সরকার অনুমতি না-দেওয়ায়। সেই সুযোগ সকলেরই পাওয়া উচিত।
এই প্রেক্ষিতে বিচারক বলেছেন, ‘‘অভিযুক্তেরা এনকাউন্টারের মতো গুরুতর মামলায় অভিযুক্ত। এটা যখন উপস্থাপিত হয়েছে যে, তাঁরা চাকরি সংক্রান্ত কাজই করছিলেন, তখন সিবিআইয়ের উচিত (সরকারের কাছে) অনুমতি চাওয়া অথবা এই বিষয়ে অবস্থান জানানো।’’ বানজারার বিরুদ্ধে মামলা চালানোর অনুমতি প্রত্যাখ্যানের সময়ে গুজরাত সরকার ‘বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থের’ যুক্তি দিয়েছিল। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে ‘লস্কর জঙ্গি’ ইশরাত ও তাঁর তিন সঙ্গী আমদাবাদে এসেছিলেন বলে দাবি করেছিল ডিটেকশন অব ক্রাইম ব্রাঞ্চ। আমদাবাদ পুলিশের এই শাখারই অফিসার ছিলেন পারমার। সিবিআইয়ের চার্জশিট বলছে, ৪টি গুলি চালান তিনি।
শ্রীনগর, ২৪ অক্টোবর: ভারতীয় আকাশসীমায় ঢুকে পড়া একটি পাকিস্তানি ড্রোন-কপ্টারকে গুলি করে নামাল ভারতীয় সেনা। শনিবার সকালে জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়াড়ার কেরান সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে কোয়াডকপ্টারটিকে গুলি করে নামানো হয়। ভারতীয় সেনা জানিয়েছে, ওই ড্রোন-কপ্টারটি চিনা সংস্থা ডিজেআই-এর তৈরি ‘ম্যাভিক-২ প্রো’ মডেলে র। নজরদারি চালানোর জন্য পাক সেনা ওই ড্রোনটি পাঠিয়েছিল বলে অনুমান ভারতীয় সেনার।