প্রফুল্ল পটেল। — ফাইল চিত্র।
মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) নেতা অজিত পওয়ারের সঙ্গে ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করে মাস কয়েক আগেই এন়ডিএ জোটে শামিল হয়েছিলেন প্রফুল্ল পটেল। এক ‘দুর্নীতি’ মামলায় এ বার সেই প্রফুল্লকে ‘ক্লিনচিট’ দিল সিবিআই।
প্রফুল্ল এক সময়ে শরদ পওয়ারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তাঁকে কংগ্রেস আমলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও করা হয়েছিল। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের দায়িত্ব ছিল তাঁর কাঁধে। অভিযোগ, তৎকালীন সরকারি বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার লাভজনক রুট ‘টাকা’র বিনিময়ে বেসরকারি বিমান সংস্থার হাতে তুলে দিয়েছিলেন প্রফুল্ল। শুধু তা-ই নয়, বিমান কেনার ব্যাপারে ‘বিশেষ’ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল। এই সুবিধার বিনিময়ে টাকা নিয়েছিলেন প্রফুল্ল এমন অভিযোগও করা হয়েছিল।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত শুরু করে সিবিআই। এমনকি, ইডি জুড়ে যায় এই দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে। ২০১৭ সালে দেশের শীর্ষ আদালতে এই মামলায় চার্জশিট দাখিল করে সিবিআই। সেই চার্জশিটে নাম ছিল প্রফুল্লেরও। তবে লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই প্রফুল্লকে ওই মামলা থেকে অব্যাহতি দিল সিবিআই। দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে সম্প্রতি জমা দেওয়া সিবিআয়ের নথিতে বলা হয়েছে, ‘‘প্রফুল্লের বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ মেলেনি।’’ আগামী ১৯ এপ্রিল এই মামলায় সিবিআইয়ের বক্তব্য শুনবে আদালত। তবে সিবিআই ‘ক্লিনচিট’ দিলেও ইডি এখনও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
বিরোধীদের অভিযোগ, বিজেপির সঙ্গে যোগ দেওয়ার পুরস্কার এত দিন পর পেলেন প্রফুল্ল। উল্লেখ্য, বিজেপিতে যোগ দিলে ‘সাত খুন মাফ’ এমন দাবি প্রায়ই তুলতে দেখা গিয়েছে বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা প্রায়ই বিজেপিকে ‘ওয়াশিং মেশিন’-এর সঙ্গে তুলনা করেন। তাঁদের অভিযোগ, বিজেপিতে যোগ দিলেই সব অপরাধ মাফ হয়ে যায়। কোনও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আর তদন্ত করে না।