এটিএম। ফাইল চিত্র।
এটিএমের ঝাঁপ খোলা। কিন্তু টাকা নেই। বারোটা রাজ্যের ঘুম ছুটিয়ে নোটসঙ্কট পা রাখল পশ্চিমবঙ্গেও। কলকাতা-সহ বিভিন্ন জায়গায় এটিএম-এ নগদের অভাব। জানা গিয়েছে ৫০০ টাকার নোট আগের চেয়ে বেশি ছাপিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্র।
অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি অসুস্থ। তার মধ্যেই অবশ্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তাঁর বার্তা,‘‘এই ঘাটতি সাময়িক। বাজারে যথেষ্ট পরিমাণে নগদ রয়েছে। কোনও কোনও রাজ্যে মাত্রাতিরিক্ত টাকা তোলা হয়েছে। তাই এমন অবস্থা।’’কিন্তু ব্যাঙ্কগুলো যে সুরে কথা বলছে, তাতে কিন্তু দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। অভিযোগ উঠছে, দু’হাজার টাকার নোটের যোগান বাড়ানোর জন্য বারংবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে আর্জি জানানো হয়েছিল। কিন্তু যোগান বাড়ানোর বদলে যোগান কমে যাওয়ায় সঙ্কট জটিল আকার নিয়েছে।
অর্থাত্ নিশানায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, এক শ্রেণির ব্যবসায়ী ২০০০ টাকার নোট মজুত করতে শুরু করেছে। স্টেট ব্যাঙ্কের বক্তব্য, এটিএম থেকে দু’হাজারেরনোট বেরিয়ে গেলে, তা আর ব্যাঙ্কে ফিরছে না। এটিএম মেশিনের চারটি ক্যাসেটে থাকে মোট ৬৫ লক্ষ টাকা। যার মধ্যে একটিতে দু’হাজার, দু’টিতে ৫০০ এবং অন্যটিতে ১০০ টাকার নোট। ব্যাঙ্ক কর্তাদের দাবি, দু’হাজার টাকার নোট পর্যাপ্ত না খাকায় এটিএম-এর ক্ষমতা ৪৫ শতাংশ অব্যবহৃত থেকে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: এটিএমে টাকার আকাল, নোটবন্দির স্মৃতি উস্কে আতঙ্ক ছড়ালো আমজনতার মনে
আরও পড়ুন: মোদী জমানায় কথার বিষ বেড়ে ৫০০ শতাংশ!
সোশ্যাল মিডিয়ায় আবার নোটসঙ্কটের জন্য কর্নাটকের ভোটকে দায়ী করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ভোটের আগে রাজনৈতিক দলগুলো দু’হাজারের নোটে বিপুল অর্থ মজুত করছে। তাই এত সমস্যা। যদিও এই অভিযোগ কতটা সত্যি, তা স্পষ্ট নয়।
তবে নোটবন্দির ১৮ মাস পর তীব্র নোটসঙ্কটে কিন্তু অনেকেই সিদুঁরে মেঘ দেখছেন। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর মন্তব্য, ‘‘ফের নোটবন্দির আতঙ্ক ঘনাচ্ছে।’’মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করেছেন, ‘‘সেই নোটবন্দির দিনগুলোর কথা মনে পড়ছে। দেশে কি তবে আর্থিক জরুরি অবস্থা চলছে?’’