প্রতীকী ছবি।
গাজিপুর সীমানায় কৃষক আন্দোলনে যোগ দেওয়ার পরে মৃত্যু হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের পিলিভিটের যুবক বলবেন্দ্র সিংহের (৩২)। দিল্লি পুলিশ জানায়, পথ দুর্ঘটনায় বলবেন্দ্রর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার যুবকের দেহ হাতে পেয়ে সৎকার করেন বাড়ির লোকেরা। শেষকৃত্যের আগে জাতীয় পতাকায় মুড়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলবেন্দ্রর দেহ। এই ঘটনায় জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে যুবকের ভাই, মা এবং স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
বিষয়টি জানাজানি হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে। টুইটারে কেউ কেউ তুলে ধরেছেন, ২০১৬ সালে দাদরির গণপিটুনি ও খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত রবিন সিসৌদিয়ার মৃত্যুর পরে, গ্রামবাসীরা জাতীয় পতাকা দিয়ে দেহ মুড়ে নিয়ে যান। সে বার তো পুলিশ কারও বিরুদ্ধে কোনও মামলা দায়ের করেনি। পুলিশ শুধু জানিয়েছিল, জাতীয় পতাকার অপমান হয়েছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হবে। প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত ২৩ জানুয়ারি পিলিভিটের ভোপাতপুর গ্রামের বাসিন্দা বলবেন্দ্র কৃষক আন্দোলনে যোগে দিতে গাজিপুর সীমানায় গিয়েছিলেন। কিন্তু জানুয়ারির শেষ থেকে তাঁর খোঁজ মিলছিল না। ১ ফেব্রুয়ারি যুবকের বাড়ির লোকেদের দিল্লি পুলিশ ফোন করে জানায়, পথ দুর্ঘটনায় বলবেন্দ্রর মৃত্যু হয়েছে। দিল্লির এক হাসপাতালে তাঁর দেহ রাখা আছে। ময়না-তদন্তের পরে বুধবার যুবকের দেহ হাতে পান পরিবারের লোকেরা। সে দিনই সৎকারের আয়োজন করা হয়।
বলবেন্দ্রর ভাই গুরুবেন্দ্র বলেন, ‘‘সৈনিকেরা যেমন সীমান্তে লড়াই করেন, কৃষকেরাও তেমনই দেশের মাটির জন্য লড়াই করছেন। কৃষকদের স্বার্থে লড়তে গিয়ে বলবেন্দ্র শহিদ হয়েছেন। তাই তাঁকে সম্মান জানাতে জাতীয় পতাকায় দেহ মোড়া হয়েছিল।’’
পিলিভিটের পুলিশ সুপার জয়প্রকাশ অবশ্য বলেছেন, ‘‘পথ দুর্ঘটনায় বলবেন্দ্রর মৃত্যু হয়েছিল। সৎকারের আগে তার দেহ জাতীয় পতাকা দিয়ে মুড়ে দেওয়া হয়েছিল। এতে জাতীয় পতাকার অমার্যাদা হয়েছে। একমাত্র জাতীয় মর্যাদাপ্রাপ্ত কারও দেহ এই ভাবে সৎকার করা যায়।’’ তিনি জানান, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।