BJP

নাগপুরের রাস্তায় একাধিক গাড়িতে ধাক্কা মেরে অডি থেকে পালালেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি সভাপতির পুত্র!

রবিবার গভীর রাতে বন্ধুদের সঙ্গে গাড়িতে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি সভাপতির পুত্র। অভিযোগ, সেই সময়েই তাঁর অডি গাড়ি একাধিক গাড়িতে ধাক্কা মেরেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:০০
Share:

নাগপুরের রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত।

মহারাষ্ট্রে বিজেপির রাজ্য সভাপতি চন্দ্রশেখর বাওয়ানকুলের পুত্রের গাড়ির ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক গাড়ি। রবিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে। ঘড়িতে তখন রাত প্রায় একটা। নাগপুরের রামদাসপথ এলাকায় একটি তিন রাস্তার মোড়ে বিজেপি নেতার পুত্র সঙ্কেত বাওয়ালকুলের অডি ধাক্কা মারে অপর একটি গাড়িতে। যাতে আরও কয়েকটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে অভিযোগ। সেই সময় গাড়িতে বিজেপি নেতার পুত্র, তাঁর বন্ধুরা এবং চালক মিলিয়ে মোট পাঁচ জন ছিলেন। ঘটনার পর সঙ্কেত-সহ তিন জন পালিয়ে যান। গাড়ির চালক ও অপর এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অবশ্য তাঁদের ইতিমধ্যে জামিন দিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, সঙ্কেতরা একটি পানশালা থেকে ফিরছিলেন এবং মত্ত অবস্থায় ছিলেন। সেই সময়েই এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। গাড়ির চালক ও অপর ধৃতের রক্তের নমুনা ইতিমধ্যেই পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তিন রাস্তার মোড়ে যে গাড়িটিতে প্রথমে সঙ্কেতের গাড়ি ধাক্কা মেরেছিল বলে অভিযোগ, সেই গাড়িটি ধাওয়া করে সঙ্কেতের অডিকে। কিছু দূর এগোনোর পর, মানকাপুরের কাছে অডি গাড়িটিকে ধরেও ফেলে ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির চালক। কিন্তু তত ক্ষণে সঙ্কেত ও আরও দু’জন পালিয়ে গিয়েছিলেন। বাকি দু’জনকে পাকড়াও করে স্থানীয় থানায় নিয়ে যান ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির চালক।

সীতাবুলদি থানার এক পুলিশ আধিকারিককে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, “মানকাপুরের দিকে আসার সময় অডি গাড়িটি আরও বেশ কয়েকটি গাড়িতে ধাক্কা মারে। মানকাপুর সেতুর কাছে অডিটিকে ধরে ফেলেছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির চালক। সঙ্কেত-সহ ওই গাড়ির তিন জন পালিয়ে গিয়েছেন। গাড়ির চালক অর্জুন হাওড়ে এবং রনিত চিত্তামওয়াড় নামে অপর এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।” ধৃত দু’জনকে প্রথমে তেহসিল থানায় নিয়ে গিয়েছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির চালক। পরে তাঁদের পাঠানো হয় সীতাবুলদি থানায়।” ওই পুলিশ আধিকারিক পিটিআইকে আরও জানিয়েছেন, অভিযুক্ত দু’জনকে ইতিমধ্যে জামিন দেওয়া হয়েছে এবং পুলিশ ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে।

Advertisement

মহারাষ্ট্রের বিজেপি সভাপতি চন্দ্রশেখরও স্বীকার করেছেন ওই গাড়িটি তাঁর পুত্র সঙ্কেতের নামেই নিবন্ধীকৃত রয়েছে। তাঁর বক্তব্য, “আইন সকলের জন্য সমান। পুলিশের উচিত নিরপেক্ষ তদন্ত করা। যাঁরা দোষী, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা উচিত। আমি কোনও পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলিনি।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement