গাড়ির বনেটে ট্যাফ্রিক পুলিশকর্মীকে টেনে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য। ছবি: টুইটার।
সিগন্যাল ভাঙায় এক যুবককে গাড়ি থামাতে বলেছিলেন কর্তব্যরত ট্র্যাফিক কনস্টেবল। গাড়িটিকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় ওই যুবক আচমকাই গতি বাড়িয়ে দেন। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা কনস্টেবলকে ধাক্কা মারেন। কনস্টেবল কোনও রকমে গাড়ির বনেট আঁকড়ে ধরেন। চালক সেই অবস্থাতেই ওই কনস্টেবলকে দেড় কিলোমিটার টেনে নিয়ে যান। পিছু ধাওয়া করেন অন্য এক পুলিশকর্মী। যানজট থাকায় আটকে পড়েন অভিযুক্ত চালক। তখনই তাঁকে পথচারীরা ধরে ফেলেন এবং পুলিশের হাতে তুলে দেন।
রবিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পালঘরের ভাসাইয়ে। গোটা ঘটনাটি ধরা পড়েছে সিসিটিভি ক্যামেরায়। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। এই ঘটনায় জখম হয়েছেন কনস্টেবল সোমনাথ চৌধরি। পুলিশ সূত্রে খবর, ভাসাইয়ের কাছে ক্রসিংয়ে গাড়ি পরীক্ষা করছিলেন সোমনাথ। তখন তিনি দেখতে পান, উত্তরপ্রদেশের নম্বর প্লেট লাগানো একটি গাড়ি সিগন্যাল ভেঙে এগিয়ে যাচ্ছে। চালককে গাড়ি থামাতে বলেন সোমনাথ এবং তাঁর এক সঙ্গী।
কেন সিগন্যাল ভেঙেছেন, কারণ জিজ্ঞাসা করা হচ্ছিল চালককে। তাঁর কাছে লাইসেন্সও চাওয়া হয়। অভিযোগ, ঠিক তখনই গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেন চালকের আসনে বসে থাকা যুবক। তাঁকে থামানোর চেষ্টা করতেই সোমনাথকে ধাক্কা মারেন। তিনি প্রায় গাড়ির নীচে চাপা পড়ে যাচ্ছিলেন, কিন্তু কোনও রকমে বনেট আঁকড়ে ধরেন। সেই অবস্থাতেই তাঁকে দেড় কিলোমিটার টেনে নিয়ে যান চালক। কিন্তু শালিমার বাগের কাছে যানজট থাকায় অভিযুক্ত আটকে পড়েন। তখন গাড়ি ছেড়ে পালাতে গিয়ে পথচারীদের হাতে ধরা প়ড়ে যান। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের বয়স ১৯। তাঁর কাছে বৈধ লাইসেন্স ছিল না। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, কর্তব্যরত সরকারি কর্মীর উপর হামলা এবং মোটর ভেহিকল আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে যুবককে।