National News

গাড়ি কিনতে পারলে পেট্রোলের বাড়তি দামও দিতে পারবে মানুষ!

তাঁর মন্তব্যের সপক্ষে মন্ত্রীর যুক্তি, পেট্রোলের উপর বাড়তি দাম বসিয়ে যে কর আদায় করা হচ্ছে, সেই টাকা গরিবদের উন্নয়নের কাজে লাগানো হচ্ছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

তিরুঅনন্তপুরম শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১৭:৪৫
Share:

কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রী কে জে আলফোন্স। ছবি: সংগৃহীত।

সবে মাত্র দিন পনেরো হল তিনি কেন্দ্রের মন্ত্রী হয়েছেন। এরই মধ্যে তিন বার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে খবরের শিরোনামে কেন্দ্রীয় পর্যটন মন্ত্রী কে জে আলফোন্স।

Advertisement

প্রথমে বলেছিলেন, ‘কেরলে গো মাংস খাওয়া নিয়ে কোনও সমস্যা নেই।’ দিন কয়েকের মধ্যে পাল্টি খেয়ে বলেছিলেন, ‘গো মাংস খেতে হলে নিজের দেশে তা খেয়ে ভারতে আসুন।’ আর এ বার বললেন, ‘যাঁর গাড়ি বা বাইক আছে, তাঁর কর দেওয়ারও সামর্থ রয়েছে। সুতরাং পেট্রোলের দাম বাড়লে, বাড়তি দাম দিয়ে তিনি তা কিনতেও পারবেন। আর এ জন্য তাঁকে তো না খেয়ে মরতে হবে না!’

তাঁর মন্তব্যের সপক্ষে মন্ত্রীর যুক্তি, পেট্রোলের উপর বাড়তি দাম বসিয়ে যে কর আদায় করা হচ্ছে, সেই টাকা গরিবদের উন্নয়নের কাজে লাগানো হচ্ছে। তাদের মাথা গোঁজার মতো বাড়ি হবে, আর প্রাথমিক চাহিদাগুলোও মেটানো সম্ভব হবে। করদাতাদের কাছ থেকে কর নিয়ে গরিবদের জীবনের মানোন্নয়ন ঘটানোতে তিনি অন্তত কোনও অন্যায় দেখছেন না।

Advertisement

আরও পড়ুন: ফেসবুক আসক্তি, বাবা-মা বকাবকি করায় আত্মঘাতী ছাত্রী!

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, এটা সরকারের ইচ্ছাকৃত সিদ্ধান্ত। যাঁদের গাড়ি বা বাইক আছে তারা উচ্চবর্গের মানুষ। তাঁদের এই কর দিতে অসুবিধা কোথায়! তাঁর দাবি, ইউপিএ জমানায় মানুষের কাছ থেকে টাকা চুরি করত সরকার। কিন্তু, বর্তমান সরকার তেমন নয়। তারা গরিবদের জন্য কাজ করতে চায়। তাঁদের উন্নয়নের জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। আর সেই অর্থ করদাতাদের কাছ থেকেই নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: ভিআইপি নিরাপত্তা বেড়েই চলেছে মোদী জমানায়, কাটছাঁটের ভাবনা

ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছে। মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কংগ্রেস। শুক্রবার দল জানিয়েছে, সরকারের এই ‘ড্রাকোনিয়ান’ নীতির বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে প্রতিবাদে সামিল হবে তারা। পাল্টা অভিযোগ এনে কংগ্রেস মুখপাত্র অজয় মাকেন জানান, পেট্রোল ও ডিজেলের উপর কেন্দ্র অতিরিক্ত কর চাপিয়ে দেওয়ার ফলেই হু হু করে দাম বাড়ছে। আর বিজেপি সরকার এই ভাবেই মানুষকে ‘লুটে’ নিচ্ছে।

এর আগে বিতর্কিত মন্তব্য করে দল ও কেন্দ্রকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন উমা ভারতী থেকে স্মৃতি ইরানি’র মতো অনেকে। এ বার নিজের মন্ত্রকের মধ্যে পড়ে না এমন বিষয় মুখ খুলে আলফোন্স আদতে মোদী সরকারের অস্বস্তি বাড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement