ফাইল চিত্র।
অকালি দল ও বিজেপি-র জোট ভেঙে যাওয়ার পরে কংগ্রেস নেতৃত্বের ধারণা ছিল, আগামী বছর কংগ্রেস পঞ্জাব ভোটে হাসতে হাসতে জিতবে। কিন্তু সেই রাজ্যে দলের অন্তর্কলহ চরমে ওঠায় এখন তা কংগ্রেস হাইকমান্ডের শিরঃপীড়ার কারণ হয়ে উঠেছে।
গতকাল পঞ্জাবের সমস্যা মেটাতে সনিয়া গাঁধীর তৈরি কমিটির মুখোমুখি হওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহ আজ রাজ্যে ফিরে গিয়েছেন। সনিয়া বা রাহুল গাঁধীর সঙ্গে দেখা না করেই। অমরেন্দ্রকে ‘মিথ্যেবাদী’ বলে আখ্যা দেওয়া নভজ্যোত সিংহ সিধু আগামিকাল কমিটির মুখোমুখি হতে পারেন।
তিনি প্রদেশ সভাপতি পদের দাবিদার। এআইসিসি-তে পঞ্জাবের ভারপ্রাপ্ত নেতা হরিশ রাওয়ত আজ রাহুল গাঁধীর সঙ্গে বৈঠকের পরে বলেছেন, কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহেই পঞ্জাব নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। তখনই স্পষ্ট হবে, পঞ্জাবে ভোটে কংগ্রেসের মুখ কে হবেন।
রাহুল পঞ্জাবের সরকারের কাজকর্ম নিয়ে প্রদেশ সভাপতি সুনীল জাখর, অর্থমন্ত্রী মনপ্রীত বাদল, সাংসদ প্রতাপ সিংহ বাজওয়ার সঙ্গেও বৈঠক করেন। কংগ্রেস সূত্রের খবর, রাহুল এত দিন সিধুর দিকে ঝুঁকে ছিলেন। কিন্তু সিধু যে ভাবে অমরেন্দ্রের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন, তাতে রাহুল বিরক্ত। তা ছাড়া, গোটা রাজ্যে ও দলের মধ্যে অমরেন্দ্রের যে প্রভাব রয়েছে, তা সিধুর নেই। অমরেন্দ্র-বিরোধী বলে পরিচিত বাজওয়ার বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের কিছু উপদেষ্টা অমরেন্দ্রকে ভুল পথে চালিত করছেন। সিধুকে বাদ দিলে অমরেন্দ্রর বিরুদ্ধে পঞ্জাবের বিধায়কদের ক্ষোভ হল, পাঁচ বছর আগে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। রাওয়ত বলেন, গুরু গ্রন্থ সাহিব অপবিত্র করার ঘটনার প্রতিকার করা, বালি, পরিবহণ মাফিয়া, ড্রাগ চক্রের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের মতো নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রূপায়ণের সময়সীমা অমরেন্দ্রকে বেঁধে দেওয়া হয়েছে।