কান্নায় ভেঙে পড়েছেন সন্তোষ। ছবি: সংগৃহীত।
পঞ্চায়েত প্রধান পদের জন্য ঘটা করে মনোনয়ন জমা করেছিলেন। প্রচারেও কোনও খামতি রাখেননি। কিন্তু লড়াইয়ে যে এ ভাবে মুখ থুবড়ে পড়বেন কল্পনাও করতে পারেননি। ১০০, ২০০ বা ১০০০ ভোট নয়, মাত্র এক ভোট পেয়ে হাউমাউ করে কেঁদে ফেললেন প্রার্থী। শুধু তাই নয়, আরও বেশি হতাশ হয়েছেন যে তাঁর পরিবারের ১২ জন সদস্যের কেউই তাঁকে ভোট দেননি। গুজরাতের বাপি জেলার ঘটনা।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাপি জেলার চারওয়ালা গ্রামের বাসিন্দা সন্তোষ। পঞ্চায়েত প্রধান পদের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন তিনি। আশা করেছিলেন বিপুল ভোটে জয় পাবেন। কিন্তু আশাহত করল তাঁর গ্রাম, প্রতিবেশী, বন্ধু-বান্ধব এমনকি নিজের বাড়ির লোকেরাও। মঙ্গলবার গুজরাতের রাজ্য নির্বাচন কমিশন ৬ হাজার ৪৮১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ফল ঘোষণা করে। ফল যখন বেরোয় তখন সন্তোষ দেখেন মাত্র একটি ভোট পেয়েছেন এবং সেটা নিজেই দিয়েছেন। ভোটের ফল জানার পরই গণনাকেন্দ্রের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
সন্তোষের ঘটনাই প্রথম নয়। এর আগে তামিলনাড়ুর কোয়ম্বত্তূরে এক নির্দল প্রার্থীও স্থানীয় নির্বাচনে এক ভোট পেয়েছিলেন। সে ক্ষেত্রেও তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাঁকে ভোট দেননি। এই ঘটনা ভাইরাল হয়। যদিও সে বার প্রার্থী কার্তিক দাবি করেছিলেন, তাঁর পরিবারের সদস্যরা অন্য ওয়ার্ডের ভোটার। তাই সেখানেই ভোট দিয়েছেন।