পালাবদলের জেরে এই স্লোগান ওঠার সম্ভাবনা উত্তরপ্রদেশে। —ফাইল চিত্র
‘শরিয়তি আইনের খপ্পর থেকে বাঁচতে বিজেপি-কে ভোট দিন।’ প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ক্ষমতার পালাবদলের জেরে এই স্লোগান ওঠার সম্ভাবনা উত্তরপ্রদেশে।
ছ’মাস পরেই সে রাজ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা ভোট। তালিবান-কাণ্ডকে ব্যবহার করে হিন্দু ভোটকে একজোট করার কৌশল নিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ, এমনটাই বলছে রাজ্যের রাজনৈতিক সূত্র। প্রধান প্রতিপক্ষ এসপি-কে তালিবানের সমর্থক হিসেবে দেগে দেওয়া হলে (যাদের ভোট ব্যাঙ্কের বড় অংশ যাদব এবং মুসলমান), মেরুকরণের রাজনীতিতে সুবিধে বিজেপির।
যোগীর বক্তৃতায় ইতিমধ্যেই উঠে আসছে প্রতিপক্ষকে তালিবান চিহ্নিত করে ভোটের ফায়দা তোলার চেষ্টা। গতকালই উত্তরপ্রদেশে বিধানসভার বক্তৃতায় বিরোধীদের জবাব দিতে গিয়ে যোগীর মুখে তালিবানিকরণের প্রসঙ্গ শোনা গিয়েছে। মূল্যবৃদ্ধি, কোভিড মোকাবিলায় ব্যর্থতা, বেকারত্ব, সরকারের প্রচারে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচের মতো অভিযোগ এনেছিলেন এসপি-সহ বিরোধী বিধায়করা। জবাবে যোগী রাজ্য সরকারের ধর্মীয় পর্যটনের দিকটিকে তুলে ধরেছেন। যোগীর কথায়, ‘‘অনেকেই কুম্ভমেলা আয়োজন করার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু করেননি ঠিকমতো। কারণ কুম্ভমেলা করতে হলে তাঁদের টুপি (ফেজ টুপি) খুলে ফেলতে হত। আজ অবশ্য তা এমনিতেই খুলে গিয়েছে!’’
রাজনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, টুপি প্রসঙ্গে এসপি সাংসদের তালিবান সংক্রান্ত মন্তব্যের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন যোগী। ১৭ তারিখ, এসপি-র লোকসভা সাংসদ শাফিকুর রেহমান বার্ক বলেন, ‘‘তালিবান স্বাধীনতা সংগ্রাম করছে, যে ভাবে ভারতে স্বাধীনতা আন্দোলন হয়েছিল।’’ এই মন্তব্যের ভিডিয়ো ক্লিপ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। নড়ে বসে যোগী প্রশাসন। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করা হয়। যোগী পরে বলেন, ‘‘মহিলা এবং শিশুদের উপরে নির্যাতন চলছে। অথচ এক দল লোক নির্লজ্জ ভাবে তালিবানকে সমর্থন করে চলেছেন। এ বার তাঁদের মুখোশ খুলে ফেলা দরকার।’’