প্রতীকী ছবি।
ঘোষণা আগেই করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আজ সরকারি ভাবে উপগ্রহ ও মহাকাশ নির্ভর পরিষেবার ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থার অংশগ্রহণে ছাড়পত্র দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
এই ছাড়পত্রের ফলে পরিষেবার উন্নতির জন্য ইসরোর পরিকাঠামো ব্যবহার করতে পারবে বেসরকারি সংস্থা। তবে তা করা যাবে সরকারি নির্দেশাবলি মেনেই। মোদী সরকারের আশা, এর ফলে আন্তর্জাতিক মহাকাশ অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারবে ভারত। আগামী দিনে ভারত আন্তর্জাতিক স্তরে প্রযুক্তির ভরকেন্দ্রে পরিণত হবে, যার ফলে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।
আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ন্যাশনাল স্পেস প্রোমোশন অ্যান্ড অথরাইজ়েশন সেন্টার (ইন-স্পেস) গঠনে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। নতুন ওই বোর্ডের কাজ হবে— বেসরকারি সংস্থার জন্য নীতি নির্ধারণ করা, তাদের মহাকাশ গবেষণায় যোগ দিতে উৎসাহিত করা। তবে পরমাণু ও মহাকাশ দফতরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংহ আশ্বাস দিয়েছেন, আগামী দিনে মহাকাশ গবেষণার প্রয়োজনে কোন মিশন হবে, তা স্থির করার ক্ষমতা ইসরোর হাতেই থাকছে। কেন্দ্রের ধারণা, এই সংস্কারমুখী সিদ্ধান্তের ফলে এক দিকে মহাকাশের বিভিন্ন প্রকল্পে বেসরকারি সংস্থাগুলি অংশ নিতে পারবে। তেমনই ইসরো-ও গবেষণা ও উন্নয়নমূলক কাজে আরও বেশি নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং নভঃশ্চর পাঠানো-সহ মহকাশ অভিযানে মনোযোগ দিতে পারবে।
আজ টুইট করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘‘সংস্কারমুখী পদক্ষেপ অব্যাহত। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা মহাকাশ ক্ষেত্রে সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশকে স্বনির্ভর ও প্রযুক্তিগত উন্নতির পথে এক ধাপ এগিয়ে দিল। যা মহাকাশ গবেষণায় বেসরকারি সংস্থাকে এগিয়ে আসতে উৎসাহিত করবে।’’