কান্নন গোপীনাথন।
সিএএ-র বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে আন্দোলন সত্ত্বেও মোদী সরকার এক ইঞ্চি পিছু হটবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী সরকারের কাজে ক্ষুব্ধ হয়ে আইএএস-এর চাকরি থেকে ইস্তফা দেওয়া কান্নন গোপীনাথন মনে করেন, ছাত্র-যুবদের এই আন্দোলনে ইতিমধ্যেই ফায়দা মিলতে শুরু করেছে।
কী রকম? আজ যন্তর-মন্তরে সিএএ-এনআরসি-র বিরুদ্ধে এক সভায় গোপীনাথন বলেন, ‘‘অমিত শাহ বলেছিলেন, গোটা দেশে এনআরসি হবেই। এই আন্দোলনের ঠেলায় মোদী বলেছেন, এনআরসি কী, আমি জানিই না। আর দু’-এক মাস আন্দোলন চললে মোদী বলবেন, অমিত কে, আমি জানিই না।’’ তাঁর মতে, মোদী সরকার বিদায় নিলে সিএএ-ও বিদায় নেবে।
সিএএ-এনআরসি-র বিরুদ্ধে ছাত্র-যুব সংগঠনগুলির মঞ্চ ‘ইয়ং ইন্ডিয়া’ আজ রামলীলা ময়দান থেকে যন্তর-মন্তর পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দিল্লি পুলিশ জানায়, অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। তা সত্ত্বেও মিছিলে পা মেলান ছাত্রছাত্রীরা। তাঁদের ১৮৫ জনকে আটক করা হয়। এর পর যন্তর-মন্তরেই সরাসরি চলে আসেন প্রতিবাদকারীরা। তাঁদের অভিযোগ, যন্তর-মন্তরের পথে রওনা দেওয়া বহু বাস আটকে দেওয়া হয়।
সভায় ভীম আর্মির প্রধান চন্দ্রশেখর আজাদ রাবণ দিল্লি হিংসায় বিজেপি নেতাদের বিদ্বেষমূলক বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘‘অনুরাগ ঠাকুর, প্রবেশ বর্মা, কপিল মিশ্র, যোগী আদিত্যনাথদের বিদ্বেষমূলক মন্তব্য সত্ত্বেও তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা হয়নি।’’ সিপিআই(এম-এল)-এর সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘বিজেপির এই ঘৃণার রাজনীতির বিরুদ্ধে দিল্লির ভোটে মানুষ রায় দিয়েছিলেন। তার পুরো ফায়দা আম আদমি পার্টি পেয়েছে। অথচ হিংসা রোখার ক্ষেত্রে বা তার পরে মানুষের জন্য ত্রাণের বন্দোবস্তেও আম আদমি পার্টির কোনও ভূমিকা নেই। এর থেকে লজ্জার আর কী রয়েছে?’’
বিজেপি নেতাদের তোলা উস্কানির অভিযোগ উড়িয়ে ছাত্রনেতা উমর খালিদ বলেন, ‘‘আমি সংবিধানের বাইরে কিছু বলিনি।’’ জেএনইউয়ের ছাত্র সংসদের নেত্রী ঐশী ঘোষ বলেন, ‘‘পুলিশ-প্রশাসনের চাপ সত্ত্বেও ছাত্র-যুবদের এককাট্টা থাকতে হবে।’’