চেন্নাইয়ে রজনীকান্ত। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে দেশ জুড়ে। তা নিয়ে এ বার কেন্দ্রের সুরেই গলা মেলালেন দক্ষিণী তারকা রজনীকান্ত। তাঁর দাবি, এই আইন একেবারেই মুসলিম বিরোধী নয়। যদি কোনও মুসলিম এই আইনের ফলে সমস্যার সম্মুখীন হন, তাহলে তিনিই সবার আগে প্রতিবাদ করবেন।
বুধবার চেন্নাইয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রজনীকান্ত বলেন, ‘‘সিএএ নিয়ে মুসলিমদের কোনও ভয় নেই। তাঁরা কোনও সমস্যার সম্মুখীন হলে, সবার আগে আমিই প্রতিবাদ করব। দেশভাগের পরেও যাঁরা এ দেশে থেকে গিয়েছিলেন, তাঁদের কীভাবে বার করে দেওয়া হবে?’’
রজনীকান্তের অভিযোগ, নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে কিছু রাজনৈতিক দল বিক্ষোভে মদত দিচ্ছে। তাই বিষয়টি নিয়ে ঠিক মতো পড়াশোনা করে তবেই বিক্ষোভ দেখানো উচিত বলে মনে করেন তিনি। রজনী বলেন, ‘‘সিএএ নিয়ে কোনও ভারতীয়কে সমস্যায় পড়তে হবে না বলে আশ্বস্ত করেছে সরকার। নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে বিক্ষোভে উস্কানি দিচ্ছে কিছু রাজনৈতিক দল। পড়ুয়াদের কাছে আমার আর্জি, বিষয়টি নিয়ে অধ্যাপকদের সঙ্গে আলোচনা করে তবেই প্রতিবাদে নামুন।’’
আরও পড়ুন: দিল্লি নির্বাচনের মুখে রামমন্দির ট্রাস্ট গঠনের ঘোষণা মোদীর
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের অসৌজন্যের পাল্টা জবাব, বক্তৃতার কপি ছিঁড়ে ফেললেন পেলোসি
সিএএ-র বিরুদ্ধে গত মাস দুয়েক ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ চলছে। তা নিয়ে আগেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন রজনীকান্ত। বেশ কিছু জায়গায় আন্দোলন ঘিরে হিংসা মাথাচাড়া দিলে সেইসময় তিনি বলেন, হিংসা এবং দাঙ্গার মাধ্যমে কোনও কিছুর সমাধান খোঁজা উচিত নয়।
তবে এ ব্যাপারে গোড়া থেকেই বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছেন রজনীকান্তের সতীর্থ কমল হাসন। সিএএ এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি)-র মাধ্যমে মোদী সরকার দেশের কাঠোমাটাকেই ভেঙে ফলতে উদ্যত হয়েছে বলে মত তাঁর। কমলের দাবি, ‘‘সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার অর্থ এই নয় যে, দেশের কাঠামোটা ভেঙে দেওয়ার অধিকার রয়েছে। সিএএ-র পর এনআরসি চালু করতে চাইছে সরকার। কাগজপত্র না থাকলেই কারও শিকড় অস্বীকার করা যায় না। এই স্বৈরশাসনের অবসান না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাব।’’