— প্রতীকী ছবি।
রাজধানী দিল্লির আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন। প্রগতি ময়দানের টানেলে লুটপাটের তিন দিনের মধ্যে এ বার এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৪ লক্ষ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠল। ঘটনাস্থল নয়াদিল্লির কাশ্মীরি গেট এলাকা। ভরসন্ধ্যায় ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে সর্বস্ব লুট করা হয় বলে অভিযোগ। তদন্তে নামলেও এখনও অধরা ছিনতাইবাজরা।
দেশের রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা এবং পুলিশ-প্রশাসন সরাসরি নিয়ন্ত্রিত হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে। তা নিয়ে দিল্লির নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রের বিতণ্ডাও কম হয়নি। গত ২৪ জুন, দিল্লির প্রগতি ময়দান এলাকার একটি টানেলের মধ্যে গাড়ি থামিয়ে ফিল্মি কায়দায় লুটের ঘটনা ঘটে। গোটা ঘটনা ধরা পড়ে রাস্তায় লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরায়। সেই ঘটনার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কার্যত একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল জনবহুল কাশ্মীরি গেট এলাকায়। পার্থক্য কেবল, প্রগতি ময়দানের টানেলে লুট হয়েছিল ২ লক্ষ টাকা, কাশ্মীরি গেট এলাকায় লুট হয়েছে ৪ লক্ষ টাকা। এই ঘটনারও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও এখনও অধরা অভিযুক্তেরা।
গত শনিবার, প্রগতি ময়দানের একটি টানেলে দুই ব্যক্তিকে লুটপাট করে কয়েক জন অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী। ডাকাতির ঘটনাটি ধরা পড়ে রাস্তায় লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরায়। সেখানে দেখা যায়, বাইকে চড়ে চার সশস্ত্র ব্যক্তি একটি গাড়িকে থামাচ্ছেন। এবং তার পর গাড়ির ভিতর থেকে একটি কালো ব্যাগ নিয়ে চম্পট দিচ্ছেন। মঙ্গলবার দিল্লি পুলিশ এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
প্রগতি ময়দানের ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। দিল্লি পুলিশকে দিল্লির নির্বাচিত সরকারের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি কেজরীওয়ালের দীর্ঘ দিনের। যদিও দিল্লি পুলিশকে অমিত শাহের মন্ত্রকের হাত থেকে সরানোর কোনও ইঙ্গিত এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। এই বিবাদের মধ্যেই জনবহুল কাশ্মীরি গেট এলাকায় ডাকাতের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব খোয়ালেন এক ব্যবসায়ী।