২৪ ঘণ্টা না কাটতেই জম্মু-কাশ্মীরের সোপোরে ফের আততায়ীর গুলিতে প্রাণ হারালেন এক ব্যবসায়ী। পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত আইজাজ আহমেদ রেশি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাত-উল-মুজাহিদিনের প্রাক্তন সদস্য। হামলায় হিজবুল মুজাহিদিনের একটি শাখা সংগঠন জড়িত বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই নিয়ে গত তিন সপ্তাহে বন্দুকবাজের গুলিতে সোপোরে মৃত্যু হল মোট ছ’জনের।
পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার সকালে রেশির দোকানে ঢুকে তাঁকে খুব কাছ গুলি করে দুই বন্দুকধারী যুবক। মাথায় দুটি বুলেট লাগে ৩৯ বছরের ওই ব্যবসায়ীর মাথায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। আততায়ীদের ধরতে পিছনে ধাওয়া করে এক দল গ্রামবাসী। কুকুরও লেলিয়ে দেওয়া হয় তাদের পিছনে। কিন্তু গুলিতে তাদের ঘায়েল করে পালিয়ে যায় দুই হত্যাকারী।
রবিবার রাতেও মেহরাজুদ্দিন দার নামে এক ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুন করে বন্দুকবাজেরা। ৯ মে সোপোরে খুন হন হুরিয়ত সদস্য এক সরকারি কর্মী। ২৫ মে এক জন বিএসএনএল কর্মীকে হত্যা করে অ়জ্ঞাতপরিচয় বন্দুকধারী। পুলিশ সূত্রে খবর, এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে দায়ী লস্কর-ই-ইসলাম। পুলিশের মতে, লস্কর-ই-ইসলাম হিজবুল মুজাহিদিনের একটি শাখা সংগঠন। যদিও হিজবুল এবং হুরিয়তের চেয়ারম্যান সৈয়দ আলি শাহ গিলানির দাবি, লস্কর-ই-ইসলাম আদতে ভারতেরই মদতপুষ্ট একটি সংগঠন।
পুলিশ জানিয়েছে, পাঁচ সন্তানের বাবা রেশি হরকাত-উল-মুজাহিদিন নামে একটি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এর জন্য পাঁচ বছর জেলও খাটতে হয়েছে তাঁকে। পুলিশ জানিয়েছে, পালানোর সময় হামলাকারীদের এক জনের পায়ে কুকুর কাম়ড়ে দেয়। বিভিন্ন হাসপাতালে খোঁজ চালিয়ে তাকে ধরার চেষ্টা করছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, পরিস্থিতি খতিয়ে না দেখেই বিদায় নেয় পুলিশ বাহিনী। সরকার বিরোধী স্লোগান দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।