Kathua Case

জম্মুতে বাস থেকে টেনে নামিয়ে চালককে গণপ্রহার স্বঘোষিত ‘গোরক্ষক’দের! ঘটনাস্থল ‘কুখ্যাত’ কাঠুয়া

জম্মুর কাঠুয়া জেলায় এলাকায় হিন্দু-মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের মানুষেরই বাস। পুলিশ সূত্রের খবর, হিন্দু সম্প্রদায়ের একাংশ এলাকায় নিজেদের ‘গোরক্ষক’ বলে পরিচয় দিয়ে বেড়ান।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২৪ ১৪:৪৫
Share:

(বাঁ দিকে)জখম বাসচালক। অভিযুক্ত স্বঘোষিত ‘গোরক্ষক’-এরা (ডান দিকে)। ছবি: এক্স (সাবেক টুইটার)।

বাসের ধাক্কায় দুর্ঘটনাবশত মৃত্যু হয়েছিল একটি বাছুরের। সেই ‘অপরাধে’ বাসচালককে তাঁর আসন থেকে টেনে নামিয়ে বেদম মারল স্বঘোষিত ‘গোরক্ষক’দের একটি দল। কাঠের মোটা লাঠি দিয়ে এলোপাথাড়ি পেটানো হয়েছে তাঁকে। ঘটনায় গুরুতর জখম ওই বাসচালক আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

Advertisement

ঘটনাটি ঘটেছে জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলায়। বছর কয়েক আগে যে কাঠুয়ায় আট বছরের এক মুসলিম বালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল সাত জনের বিরুদ্ধে। সাম্প্রতিক ঘটনাটি সেই পুরনো কথাই মনে পড়িয়ে দিয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের। ওই স্বঘোষিত ‘গোরক্ষক’দের শাস্তি চেয়ে পথে নেমেছেন এলাকার মানুষ। তাঁদের অভিযোগ, দরকার হলে ঘটনাটি নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করতে পারতেন ওই ‘গোরক্ষক’-এরা। তা না করে আইন কেন হাতে তুলে নিলেন? পুলিশের কাছে তাঁদের দাবি, ওই ধরনের আক্রমণ ভবিষ্যতে যাতে আর না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।

জম্মুর কাঠুয়া জেলায় এলাকায় হিন্দু-মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের মানুষেরই বাস। পুলিশ সূত্রের খবর, হিন্দু সম্প্রদায়ের একাংশ এলাকায় নিজেদের ‘গোরক্ষক’ বলে পরিচয় দিয়ে বেড়ান। রবীন্দ্র সিংহ নামে এক ব্যক্তি এঁদের নেতাস্থানীয়। মঙ্গলবার রাতে তাঁর নেতৃত্বেই ওই স্বঘোষিত ‘গোরক্ষক’-এরা কাঠুয়ার ঘাটি এলাকায় হামলা চালান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই বাসচালক হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়েও পার পাননি। রবীন্দ্র এবং তাঁর সঙ্গীরা ওই বাসচালককে ‘নৃশংস ভাবে’ মারধর করেন। তার পরে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে ফেলে রেখে চলে যান।

Advertisement

অভিযোগ, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন এলাকায় স্বঘোষিত ‘গোরক্ষক’দের হাতে হেনস্থার ঘটনা ঘটছে। দু’দিন আগেই হরিয়ানার কাছে দুই লেবু ব্যবসায়ীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল জনা বিশেক এমন স্বঘোষিত ‘গোরক্ষক’দের বিরুদ্ধে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement