ট্রাকের সঙ্গে ধাক্কা লাগার সঙ্গে সঙ্গেই বাসটিতে আগুন ধরে যায়। ছবি: সংগৃহীত।
যাত্রিবোঝাই বাসটি দিল্লি থেকে উত্তরপ্রদেশ যাচ্ছিল। মাঝ রাতে একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। আর তাতেই আগুন লেগে যায় বাসটিতে। জীবন্ত অবস্থায় বাসের ভিতরেই পুড়ে মারা গেলেন ২২ জন। অগ্নিদগ্ধ হয়ে গুরুতর জখম অন্তত ১৫ জন। তাঁদের মধ্যে কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
পুলিশ জানিয়েছে, দিল্লির আনন্দবিহার থেকে উত্তরপ্রদেশের গোন্ডায় যাচ্ছিল বাসটি। রবিবার রাত দেড়টা নাগাদ উত্তরপ্রদেশের বরেলীর কাছে ২৪ নম্বর জাতীয় সড়কে উল্টোদিক থেকে দ্রুতগতিতে ছুটে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা লাগে তার। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ধাক্কা লাগার সঙ্গে সঙ্গেই বাসের জ্বালানি ট্যাঙ্কার ফেটে যায়। আর তার জেরেই বাসে আগুন লেগে যায়। দুর্ঘটনার সময় বাসের বেশির ভাগ যাত্রীই ঘুমাচ্ছিলেন। আগুন লেগে যাওয়ার পরে কয়েক জন যাত্রী জানলা দিয়ে লাফিয়ে নেমে পড়েন। তাঁরা প্রাণে বাঁচলেও, বাসের পিছনের দরজা বন্ধ থাকায় অধিকাংশ যাত্রীই বেরোতে পারেননি।
আরও পড়ুন: চিনকে টক্কর দিতে মোদীর নীল নকশা
ঘটনাস্থলেই মারা যান ১৭ জন। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়। স্থানীয় হাসপাতালে জখমদের চিকিৎসা চলছে। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বরেলীর পুলিশ সুপার যোগীন্দ্র কুমার বলেন, ‘‘অগ্নিদগ্ধ ১০ যাত্রীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকিদের দেহ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। বাসের জানলা থেকে বাইরে লাফিয়ে নেমেছিলেন ২০ জন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে।’’
দুর্ঘটনার সময় বাসে মোট কত জন যাত্রী ছিলেন তা এখনও পর্যন্ত নির্দিষ্ট ভাবে জানতে পারেনি পুলিশ।