রাজনীতি ছাড়তে চেয়ে দলকে চিঠি শাহ ফয়সলের— ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটের আগে আমলার চাকরি ছেড়ে রাজনৈতিক দল গড়েছিলেন। কিন্তু মাত্র ১৬ মাসের মাথাতেই জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন আইএএস অফিসার শাহ ফয়সল রাজনীতি ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন। সোমবার, নিজের হাতে গড়া দল জম্মু ও কাশ্মীর পিপলস মুভমেন্টে (জেকেপিএম)-এর সভাপতি পদ তো বটেই, সদস্যপদ থেকেও ইস্তফা দিয়ে দিলেন তিনি। গত বছর অগস্টে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর যাঁদের আটক বা গ্রেফতার করা হয়েছিল, ফয়সল তাঁদের অন্যতম। দীর্ঘ ১১ মাস পর মুক্তি পাওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই, দল এবং রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ালেন।
পিপলস মুভমেন্টের তরফে আজ একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘ফয়সল রাজ্য কর্মসমিতির সদস্যদের জানিয়েছিলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তাঁর পক্ষে রাজনৈতিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই তিনি সাংগঠনিত দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চান। পরিস্থিতি বিবেচনা করে দল তাঁর আবেদন মেনে নিয়েছে।’’ ফয়সলের পরিবর্তে দলের অস্থায়ী সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন সহ-সভাপতি ফিরোজ পিরজাদা।
রবিবার রাতে ফয়সল তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ‘জম্মু ও কাশ্মীর পিপলস মুভমেন্ট সভাপতি’ পরিচয় সরিয়ে দিয়েছিলেন। এর পরেই উপত্যকায় জল্পনা শুরু হয়েছিল, তিনি রাজনীতি ছেড়ে ফের কোনও সরকারি পদে যোগ দিতে পারেন। ডাক্তারির কৃতী ছাত্র শাহ ফয়সল তাঁর পুরনো পেশাতেও ফিরতে পারেন বলে আজ শোনা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘করোনা টিকায় তাড়াহুড়ো নয়’, জানিয়ে দিলেন ভারত বায়োটেক কর্তা
২০১০ সালের আইএএস পরীক্ষায় প্রথম স্থানাধিকারী ফয়সল ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। আমলা থাকাকালীন ২০১৮ সালে বিতর্কিত টুইট ঘিরে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সঙ্ঘাতে জড়িয়েছিলেন তিনি। চাকরিতে ইস্তফা দেওয়ার দু’মাস পরে নয়া দল গড়ে জম্মু ও কাশ্মীরের স্বশাসন নিয়ে সরব হন ফয়সল। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপের পরে অনেক কাশ্মীরি নেতার মতোইজননিরাপত্তা আইনে আটকও গৃহবন্দি করা হয়েছিল ৩৭ বছরের ফয়সলকে। গত ১৪ অগস্ট বিদেশ যাওয়ার পথে তাঁকে দিল্লি বিমানবন্দরে আটক করা হয়েছিল। গত মাসে তিনি মুক্তি পান।
আরও পড়ুন: করোনা পজিটিভ প্রণব মুখোপাধ্যায়, নিজেই জানালেন টুইটে