আদিবাসী যুবকের গায়ে প্রস্রাবে অভিযুক্তের বাড়ির একাংশ ভাঙল বুলডোজ়ার। ছবি: টুইটার।
উত্তরপ্রদেশের ছায়া এ বার মধ্যপ্রদেশে। অভিযুক্তের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল বুলডোজ়ার। আদিবাসী যুবকের গায়ে প্রস্রাবে অভিযুক্ত প্রবেশ শুক্লার বাড়ির একাংশ বুধবার বুলডোজ়ার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন। অভিযোগ, বাড়ির ওই অংশ বেআইনি ভাবে জমি দখল করে তৈরি করা হয়েছে।
বুধবার প্রবেশের বাড়িতে বুলডোজ়ার নিয়ে হাজির হন বেশ কয়েক জন সরকারি কর্মী। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের একটি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, বুলডোজ়ার দিয়ে ভাঙা হচ্ছে প্রবেশের বাড়ির একটি অংশ। এক সরকারি কর্তা পিটিআইয়ের প্রতিনিধিকে বলেন, ‘‘তফসিলি জনজাতির এক যুবকের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করেছেন রমাকান্ত শুক্লর ছেলে প্রবেশ শুক্ল। অতীতে তাঁর অপরাধে জড়িত হওয়ার রেকর্ড রয়েছে। রমাকান্তের বাড়ির একটি অংশ বেআইনি ভাবে দখল করা জমিতে তৈরি হয়েছে। তাই ওই অংশ ভেঙে দেওয়া হল।’’
দিন দুই আগে একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা গিয়েছে, এক আদিবাসী যুবকের গায়ে প্রস্রাব করছেন এক যুবক। প্রবেশ নামে ওই যুবক সিধি জেলায় থাকেন। ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। যে আদিবাসী যুবককে ওই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, পুলিশ তাঁকে চিহ্নিত করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। যুবকের নাম দশমত রাভত। ৩৬ বছরের দশমত দাবি করেছেন, ভিডিয়োটি ভুয়ো। প্রবেশকে ফাঁসানোর জন্য ওই ভিডিয়ো তৈরি করা হয়েছে। বিরোধীরা দাবি করেছেন, আদিবাসী যুবককে দিয়ে ওই বয়ান লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে। চাপে পড়েই এ ব্যাপারে মুখ খুলতে চাননি তিনি।
এই নিয়ে মধ্যপ্রদেশ সরকারের দিকেও আঙুল তুলেছে বিরোধীরা। কংগ্রেসের দাবি, অভিযুক্ত প্রবেশের সঙ্গে বিজেপি নেতাদের দেখা গিয়েছে। সেই ছবি সমাজমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এর পরেই মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান বিষয়টি নিয়ে সক্রিয় হন। প্রশাসন সূত্রে খবর, তাঁর নির্দেশে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রে জানানো হয়েছিল, ওই ব্যক্তির সম্পত্তি বুলডোজ়ার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হতে পারে। অবশেষে তা-ই করা হল। প্রবেশের বাড়ির একাংশ বুলডোজ়ার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিল মধ্যপ্রদেশ প্রশাসন।