ইঙ্গিত মিলেছিল আগেই। তা মিলেও গেল। কোনও বিতর্ক ছাড়াই শুক্রবার লোকসভায় অর্থবিল পাশ করিয়ে নিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। আদানিকাণ্ডে যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি)-র মাধ্যমে তদন্তের দাবিতে বিরোধী সাংসদদের বিক্ষোভের মধ্যেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন লোকসভায় অর্থবিল পেশ করেন। স্পিকার ওম বিড়লার অনুমতিতে আলোচনা ছাড়াই ধ্বনিভোটে তা পাশ হয়ে যায়।
অর্থবিলে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের পেনশন সংক্রান্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য নতুন কমিটি গঠনের প্রস্তাব রয়েছে। রয়েছে বিদেশ সফরের সময় ক্রেডিট কার্ডের নিয়মে রদবদল সংক্রান্ত রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)-র প্রস্তাবও। সব মিলিয়ে মোট ৪৫টি সংশোধনী-সহ পাশ হয়েছে আগামী অর্থবর্ষের অর্থবিল।
অর্থবিলে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের পেনশন সংক্রান্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য নতুন কমিটি গঠনের প্রস্তাব রয়েছে। রয়েছে বিদেশ সফরের সময় ক্রেডিট কার্ডের নিয়মে রদবদল সংক্রান্ত রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)-র প্রস্তাবও। সব মিলিয়ে মোট ৪৫টি সংশোধনী-সহ পাশ হয়েছে আগামী অর্থবর্ষের অর্থবিল।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারও বিরোধীদের বিক্ষোভের মধ্যেই আগামী অর্থবর্ষে কেন্দ্রের বিভিন্ন মন্ত্রকের বাজেটের ৪৫ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দ সংক্রান্ত প্রস্তাব ধ্বনিভোটে পাশ করিয়ে নিয়েছিল কেন্দ্র। বাজেটের নথি জানাচ্ছে, ২০২৩-২৪ সালে কেন্দ্রের বিভিন্ন মন্ত্রকে মোট আনুমানিক ব্যয় ৪৫ লক্ষ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে। যার মধ্যে মোট মূলধন ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ লক্ষ কোটি টাকা। চলতি অর্থবর্ষের ব্যয় আনুমানিক ৪১.৮ লক্ষ কোটি টাকা।
আগামী ৬ এপ্রিল পর্যন্ত সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্বের অধিবেশন চলার কথা। কিন্তু কর্নাটকের আসন্ন বিধানসভা ভোটকে ‘পাখির চোখ’ করা পদ্ম-শিবির তার আগেই অধিবেশনে ইতি টানতে পারে বলে মনে করছে বিরোধী দলগুলি।