শুরুর আগেই শেষের বার্তা!
সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধ। ৮ এপ্রিল পর্যন্ত তা চলার কথা। কিন্তু পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য সরকার পক্ষ থেকে শুরু করে বিরোধী শিবিরের একটি বড় অংশও চায়, আগেই বাজেট অধিবেশনে ইতি টানা হোক। সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে নির্ধারিত সময়ের দু’সপ্তাহ আগেই অধিবেশন শেষ হয়ে যেতে পারে।
কোভিড পরিস্থিতির জন্য বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধেও লোকসভা ও রাজ্যসভা আলাদা সময়ে বসবে। রাজ্যসভা বসবে সকালে, লোকসভা বিকেলে। বয়স্ক সাংসদদের জন্য সংসদে টিকাকরণের ব্যবস্থাও তৈরি। কিন্তু সরকার পক্ষ ও বিরোধী শিবিরের নেতারা লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডুর কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, অধিবেশন আগেভাগেই গুটিয়ে ফেলার জন্য। কারণ, অনেকে প্রচারে ব্যস্ত থাকবেন।
বাজেট অধিবেশনের প্রথমার্ধে সংসদে তৃণমূল সাংসদদের উপস্থিতি ছিল যৎসামান্য। এ বার ভোট ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় পরে তাঁদের উপস্থিতি আরও কম হবে। বঙ্গ-বিজেপির অধিকাংশ সাংসদও প্রচারে ব্যস্ত থাকবেন। তামিলনাড়ুর ডিএমকে, এডিএমকে, কেরলের বাম সাংসদরাও খুব বেশি সংসদমুখো হতে চাইছেন না। লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস সভাপতি। তাঁর মতো কেরল, অসম, তামিলনাড়ুর কংগ্রেস সাংসদরাও নিজের রাজ্যে বেশি সময় দিতে চান।
বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে সরকারের অগ্রাধিকার, অর্থ বিল পাশ করানো ও বাজেটের অর্থ মঞ্জুর। কিছু মন্ত্রকের বাজেট বরাদ্দ নিয়েও আলোচনা হবে। এ ছাড়া, সরকার পেনশন তহবিল নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ আইনের সংশোধন, ক্রিপ্টোকারেন্সি ও সরকারি ডিজিটাল কারেন্সি বিল পেশ করবে। পরিকাঠামোয় অর্থ জোগাতে নতুন জাতীয় ব্যাঙ্ক তৈরির জন্যও বিল নিয়ে আসা হবে এই অধিবেশনে।