Adani Controversy

আদানিকাণ্ডে আলোচনা চেয়ে আবারও উত্তাল সংসদ, মুলতুবি দুই কক্ষের অধিবেশনই

আদানির সংস্থার শেয়ার সংক্রান্ত রিপোর্ট নিয়ে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে কংগ্রেস। তাদের দাবি, এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বা যুগ্ম সংসদীয় কমিটির তদারকিতে তদন্ত চালাতে হবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৬:৪১
Share:

আদানিকাণ্ডে মুলতুবি হয়ে গেল সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশন। — ফাইল ছবি।

আদানিকাণ্ডে আবারও উত্তাল সংসদের দুই কক্ষ। আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে আলোচনা চেয়ে সরব বিরোধীরা। তার জেরে সোমবার মুলতুবি হয়ে গেল রাজ্যসভা এবং লোকসভার অধিবেশন।

Advertisement

গৌতম আদানির সংস্থার শেয়ার নিয়ে হিন্ডেনবার্গ যে রিপোর্ট দিয়েছে, তা নিয়ে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে কংগ্রেস। তাদের দাবি, এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বা যুগ্ম সংসদীয় কমিটির তদারকিতে তদন্ত চালাতে হবে। এলআইসি এবং স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার দফতরের সামনে তারা প্রতিবাদ জানাচ্ছে। সোমবার সংসদে গান্ধীমূর্তির সামনেও বিক্ষোভের কর্মসূচি রয়েছে কংগ্রেসের।

এই নিয়ে তৃতীয় দিন আদানিকাণ্ড নিয়ে আলোচনার জন্য মুলতুবির নোটিস দিয়েছিলেন বিরোধী নেতারা। তা খারিজ হয়ে যায়। এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম বলেন, ‘‘কী ভাবে একটার পর একটা নোটিস খারিজ হয়ে যায়? আমরা সংসদ মুলতুবি করতে চাই না। আমরা চাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হোক।’’ রাজ্যসভার বাইরে সংবাদিকদের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিরোধী নেতারা।

Advertisement

কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ টুইটারে ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘‘এই নিয়ে তিন দিন আদানি-দুর্নীতি নিয়ে বিরোধীদের যুগ্ম সংসদীয় কমিটির তদন্তের দাবি তুলতে দেওয়া হচ্ছে না। ২টো পর্যন্ত স্থগিত রয়েছে অধিবেশন। এটা স্পষ্ট যে, মোদী সরকার পালাচ্ছে।’’ শেষ পর্যন্ত গোটা দিনের জন্য মুলতুবি হয়ে যায় সংসদের অধিবেশন।

শুক্রবারও আদানিকাণ্ডের জেরে মুলতুবি হয়ে যায় সংসদ। বিরোধীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানায়, মোদী সরকার বাজেটে আয়কর ছাড়ের কথা বলে মধ্যবিত্তের মন জয়ের কথা বলেছিল। সেই মধ্যবিত্তের সঞ্চয়ের সুরক্ষা এখন প্রশ্নের মুখে। কংগ্রেস অভিযোগ করে, সংসদে আদানির নাম উচ্চারিত হোক, সেটা তাঁর ‘মেন্টর’ নরেন্দ্র মোদী চান না। বিরোধীদের দাবি ছিল, মোদী সরকার সরকারি ব্যাঙ্কগুলিকে আদানি গোষ্ঠীকে ঋণ দিতে বাধ্য করেছিল কি না, এলআইসি-কে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারে টাকা ঢালতে চাপ দিয়েছিল কি না, তা নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটি বা সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির নজরদারিতে তদন্ত হোক।

আমেরিকার লগ্নি নিয়ে গবেষণাকারী সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ অভিযোগ তুলেছিল, গৌতম আদানির গোষ্ঠী কারচুপি করে তাদের সংস্থাগুলির শেয়ার দর বাড়িয়েছে। কৃত্রিম ভাবে ফাঁপিয়ে তোলা দামের শেয়ার বন্ধক রেখে ঋণ নিয়েছেন আদানিরা। শেয়ারের দাম পড়ে গেলে ব্যাঙ্কগুলিও বিপদে পড়বে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement