গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
২০ বছরের পুরনো ব্যক্তিগত গাড়ি যদি স্বাস্থ্য পরীক্ষায় পাশ করতে না পারে, তা হলে সেটি সম্পূর্ণ বাতিল করা হবে। বাজেটে এমনই ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ব্যক্তিগত গাড়ির ক্ষেত্রে এই নিয়মটি ২০ বছরের জন্য হলেও বাণিজ্যিক গাড়ির ক্ষেত্রে তা হবে ১৫ বছর। পরে এই বিষয়ে বিস্তারিত নিয়ম জানানো হবে বলে জানিয়েছেন নির্মলা।
ভারতে সাধারণত ব্যক্তিগত গাড়ির গড় বয়স ৮ বছর আর বাণিজ্যিক গাড়ির গড় বয়স ১২ বছর। সে দিক থেকে দেখতে গেলে, খুব কম সংখ্যাক মানুষই এতে লাভবান হবেন। বাণিজ্যিক মহলের মতামত, শেষ কয়েকবছর ধরেই গাড়িবাজার মন্দার মুখে পড়েছে। গাড়ি বাতিল হলে বাড়বে নতুন গাড়ির সংখ্যা।মনে করা হচ্ছে, ক্রেতার সংখ্যা বৃদ্ধির চেষ্টা করার জন্যই সরকার ঘুরিয়ে এ ভাবে বাজার বড় করতে চাইছে।
অনেকদিন ধরেই শিল্পমহল থেকে এই নীতি প্রয়োগের বিষয়ে দাবি তোলা হচ্ছিল। ২০১৯ সাল থেকে এই নিয়ে আলোচনাও চলছে। প্রাথমিক ভাবে ১৫ বছরের পুরনো গাড়ির ক্ষেত্রেই এই নীতি প্রয়োগের দাবি উঠেছিল। ই-গাড়ির ব্যবহার যাতে আরও বৃদ্ধি পায়, সেই কারণেই এই নীতি প্রয়োগের কথা বলেছিলেন অনেকে।
ভারতের রাস্তায় কম করে ৬০ লক্ষ গাড়ি চলে যেগুলির বয়স ১৫ বছরের বেশি। এগুলি সবই পরিবর্তন করার মতো। গাড়ি থেকে হওয়া দূষণের মোট পরিমাণের বেশিরভাগই এই গাড়িগুলি থেকে ছড়িয়ে পড়ে। একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের রিপোর্ট অনুসারে পরবর্তী অর্থবর্ষে এই সংখ্যা বেড়ে হবে ৯০ লক্ষ। ২০২৫-’২৬ অর্থবর্ষে সেই সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়াবে প্রায় ২ কোটি ৮০ লক্ষ।