—ফাইল চিত্র।
বাজেট পেশ করতে পারেননি। চিকিৎসার জন্য তিনি আমেরিকায়। কিন্তু দূরে থেকেও দূরে থাকতে পারলেন না অরুণ জেটলি। নরেন্দ্র মোদী সরকারের শেষ বাজেটের পক্ষে সওয়াল করতে আমেরিকায় বসেই ভিডিয়ো কনফারেন্সে দিল্লির সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিলেন তিনি। পরে বাজেট নিয়ে পুরোদস্তুর টিভি সাক্ষাৎকারও দিলেন বিদেশে।
পাঁচ বছর অর্থমন্ত্রী থেকেও জেটলি এই সরকারের শেষ বাজেট পেশ করতে পারলেন না বলে বিজেপি নেতাদের অনেকের মনখারাপ। কিন্তু সন্ধ্যায় জেটলিকে টিভিতে দেখে প্রশ্ন উঠেছে, তাঁকে তো সুস্থই দেখাচ্ছে। তা হলে বাজেট পেশ করলেন না কেন? জল্পনা শুরু হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই কি এই বাজেট থেকে জেটলিকে দূরে রাখতে চেয়েছিলেন? যাতে রাজনৈতিক বাজেট করা যায়! প্রথা ভেঙে অন্তর্বর্তী বাজেটেও বিপুল ঘোষণা করা যায়!
সরকারি সূত্রের বক্তব্য, জেটলি তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতার শারীরিক পরীক্ষার জন্য আমেরিকায় গিয়েছিলেন। পরে নিজেরও শারীরিক পরীক্ষা করান। তাঁর পায়ে একটি সমস্যা হচ্ছিল। ২৪ জানুয়ারি দিল্লি ফেরার কথা থাকলেও, ২৩ তারিখে জেটলির পায়ে অস্ত্রোপচার হয়। গত বছর কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছে তাঁর। তাই অস্ত্রোপচারের পরে ডাক্তারেরা দু’সপ্তাহ বিশ্রামের পরামর্শ দিয়েছেন। সূত্রের দাবি, শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকলেও চলাফেরায় বিধিনিষেধ রয়েছে বলেই দেশে ফিরে বাজেট পেশ করতে পারেননি জেটলি।
মোদী সরকার চাষিদের জন্য আয়ের বন্দোবস্ত করলেও তা ‘নেহাত সামান্য’ বলে কটাক্ষ করেছে বিরোধীরা। এর জবাবে জেটলি বলেছেন, ‘‘এখন আর কুম্ভীরাশ্রু বিসর্জন করে লাভ নেই। ইউপিএ সরকার ১০ বছর ক্ষমতায় থেকে কী করেছে? এক বার মাত্র ৭০ হাজার কোটি টাকার কৃষি ঋণ মকুব ঘোষণা করেছিল। আদতে মকুব হয়েছিল ৫২ হাজার কোটি টাকা। তার মধ্যেও অনেক টাকা চাষিদের কাছে পৌঁছয়নি বলে সিএজি রিপোর্ট দিয়েছে।’’
বাজেটের পরেই বিবৃতি দিয়ে তার প্রশংসা করেছিলেন জেটলি। সন্ধ্যায় গোলাপি জামার উপর কোট চাপিয়ে টিভি ক্যামেরার সামনে বসে পড়েন। চর্চা অবশ্য চলছেই। গভীর রাতে ফের হাজির হন একটি চ্যানেলে। বললেন, নোটবন্দির সমালোচনা হচ্ছে কল্পিত যুক্তির ভিত্তিতে। নগদ লেনদেনে রাশ টেনে ডিজিটাল লেনদেন বাড়ানোই তার বিরাট সাফল্য।