ছবি- সুদীপ সরকার
কিছু দিন আগেই পঞ্জাব থেকে বদলি হয়েছিলেন শ্রীনগরে। আজ সকালে সেখান থেকেই ত্রিপুরায় ফোন করে বিএসএফের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, গত কাল রাতে জঙ্গিদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন সুদীপ।
সুদীপ সরকার। বিএসএফের কনস্টেবল। গত কাল রাত একটা নাগাদ কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার মাছিল সেক্টরে টহলদারিতে ব্যস্ত ছিলেন। সেই সময়েই নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের চেষ্টা লক্ষ্য করেছিল টহলদারি দলটি। বিএসএফের অন্য জওয়ানদের সঙ্গে অনুপ্রবেশ আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন সুদীপ। সেই চেষ্টা করতেই জঙ্গিরা বিএসএফের জওয়ানদের নিশানা করে গুলি ছুড়তে শুরু করে।
বিএসএফের পাল্টা গুলিতে নিহত হয় এক জঙ্গি। সেই লড়াইয়ে গুরুতর আহত হন সুদীপ। তবে নিজের জীবন বিপন্ন করে সংঘর্ষস্থলে থেকে শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান তিনি। রাতে প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে লড়াই চলেছে। তার মধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন বিএসএফের ওই কনস্টেবল।
আরও পডুন: সংযমের কড়া বার্তা তেজস্বীর
আরও পডুন: কোভিড নয়, বিপর্যয়ের মূলে নোটবন্দি: রাহুল
সুদীপ ত্রিপুরার ধলেশ্বরের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর দাদা দীপঙ্কর সরকার আজ জানিয়েছেন, সকালে বিএসএফ আধিকারিকেরা বাড়িতে ফোন করে ওই দুঃসংবাদ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, সম্প্রতি পঞ্জাব থেকে শ্রীনগর বদলি হয়েছিলেন সুদীপ। তাঁর দুই মেয়ে ও স্ত্রী কোচবিহারে রয়েছেন।
কাশ্মীরে জঙ্গি অনুপ্রবেশ আটকাতে গিয়ে বিএসএফের কনস্টেবল সুদীপের নিহত হওয়ার খবরে রাজ্যজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব টুইট করে বলেছেন, ‘‘বীর যোদ্ধা সুদীপ সরকার আমাদের রাজ্য ও দেশের গর্ব। সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তিনি শহিদ হয়েছেন। তাঁর আত্মার চিরশান্তি কামনা করছি। বীর সন্তানের মা ও তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’’ আগামিকাল দুপুরে সুদীপের মৃতদেহ আগরতলায় আনা হবে।