ফাইল চিত্র।
হিংসায় ক্ষতিপূরণ আদায়ে এ বার যোগী আদিত্যনাথের পথ ধরলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা। বেঙ্গালুরু হিংসার ঘটনায় উপযুক্ত পদক্ষেপ করতে সোমবার নিজের বাসভবনে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন তিনি। বৈঠক শেষে টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই ঘটনায় সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ের পরে অভিযুক্তদের কাছ থেকেই সেই মূল্য আদায়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বছরের গোড়ায় সিএএ-র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালীন সরকারি সম্পত্তি নষ্টের ক্ষতিপূরণ অভিযুক্তদের কাছ থেকে তোলার কথা ঘোষণা করে শিরোনামে এসেছিল উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার। ইয়েদুরাপ্পার টুইটের পর বিশেষজ্ঞদের মত, বিজেপি শাসিত কর্নাটকও সেই পথ অনুসরণ করল।
হিংসার ঘটনার তদন্ত চালাতে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়েছে বলে এ দিন টুইট করেছেন ইয়েদুরাপ্পা। বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত করার স্বার্থে দলে তিন জন আইনজীবীকে রাখা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ প্রয়োগ করা হবে বলে জানান ইয়েদুরাপ্পা। প্রয়োজনে ‘গুন্ডা আইন’-এ তদন্ত করা হবে বলে টুইটে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার রাতে হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৩৪০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ৫২ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৩, ১৪৭, ৪৩৬, ৩০৭, ৩৩২, ৩৩৩ এবং ৪২৭ অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রশান্ত মামলায় ৩ প্রশ্নে হবে সওয়াল
মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে এ দিনের বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই। ঘটনার সঙ্গে কংগ্রেসের নাম জড়ানোর বিষয়ক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘‘আমি কংগ্রেস নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না।’’ তা ছাড়া তিনি আরও বলেন, এফআইআর-এ বিধায়ক শ্রীনিবাস মূর্তি কারও নাম নেননি। যদিও তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার সঙ্গে কারা-কারা জড়িত, পরবর্তী কালে তা নিয়ে তথ্য দেবেন তিনি। সরকার নিজস্ব সূত্র এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের মাধ্যমে তাঁর বাড়িতে হামলার বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে।’’ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এসডিপিআই-এর বেশ কয়েক জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বোম্মাই বলেন, ‘‘তদন্তে রাজনৈতিক রং দেখা হচ্ছে না।’’
হিংসার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে বিক্ষোভ-বিধ্বস্ত এলাকা। কমপক্ষে ১৮ অগস্ট পর্যন্ত পুলিশি নজরদারি চলবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের পুলিশ কমিশনার কমল পন্থ। দু’জনের বেশি জমায়েত, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যাওয়া এবং জনসভার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। অন্য দিকে যে-সব সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে সামাজিক উত্তেজনা ছড়াতে পারে, সেগুলির বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠক ডাকা হবে।