প্রতীকী ছবি।
গত এক মাসে ১৩০টিরও বেশি বিনুনি কাটার ঘটনা ঘটেছে কাশ্মীরে । এ নিয়ে উপত্যকায় মহিলাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তবে এ সব ঘটনার পিছনে কে বা কারা, তা খুঁজতে গিয়ে এখনও অন্ধকারে পুলিশ। এর মধ্যেই আজ বিনুনি কাটার চক্রী সন্দেহে এক মানসিক প্রতিবন্ধী যুবককে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের সোপর জেলায়। তাঁকে জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়, এমনকী গায়ের উপর দিয়ে ট্রাক্টর চালিয়ে দেওয়ারও চেষ্টা চালায় জনতা। গুরুতর আহত ওয়াসিম আহমদ এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন।
সকালেই পুলিশের কাছে খবর আসে, সোপরের ফল মান্ডি এলাকায় বিনুনি কাটার চক্রী সন্দেহে এক যুবককে স্থানীয় লোকজন মারধর করতে শুরু করেছে। রাজ্য পুলিশের ডিজি এসপি বৈদ্য জানিয়েছেন, শুধু সন্দেহের বশবর্তী হয়ে যুবকটিকে ধরে ফেলে জনতা। বেধড়ক মারধর করা হয়। শেষ পর্যন্ত পুলিশ পৌঁছে যুবকটিকে উদ্ধার করে। তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, মানসিক প্রতিবন্ধী যুবকটির গায়ে ঘাস ছড়িয়ে দিয়ে তা জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাটি মোবাইলে রেকর্ডও করেছে কেউ কেউ। সেখানে দেখা গিয়েছে, উত্তেজিত জনতা যুবকটিকে ব্যাপক মারধরের পরে তাঁর গায়ে আগুন ধরানোর চেষ্টা করছে।
গত মাস থেকেই মহিলাদের বিনুনি কাটার ঘটনা নিয়ে কাশ্মীর উপত্যকায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বিচ্ছিন্নতাবাদী হুরিয়ত কনফারেন্সের নেতারা এ নিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। এর জেরে বিভিন্ন সময়ে উপত্যকায় যাতায়াতের উপর নিষেধাজ্ঞাও জারি হয়েছে। পুলিশ বাহিনীর ক্ষোভ, এই ধরনের ঘটনাগুলি কাশ্মীরে জঙ্গি দমন অভিযানকে ধাক্কা দিচ্ছে। বিনুনি কাটার রহস্য উদ্ধারে কোনও রকম সূত্র দিতে পারলে পুরস্কার দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করেছে পুলিশ। তবে এ সবে লাভ হয়নি কিছুই। এর মধ্যেই জনতাকে আইন নিজের হাতে তুলে নিতে দেখে উদ্বিগ্ন প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ক্ষোভ জানিয়েছেন যে বিনুনি কাটার ঘটনা নিয়ে গণ উন্মাদনা ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। অপরাধীদের ধরতে সরকার যাবতীয় চেষ্টা চালাচ্ছে বলে তিনি দাবি করেছেন।