গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
ক্লাসে ফোন নিয়ে যাওয়ায় নিয়ে নিয়েছিলেন শিক্ষক। সেই মোবাইল উদ্ধারে মাঝরাতে স্কুলে হানা দিল ছাত্র। দুই বন্ধুকে নিয়ে স্কুলের স্টাফরুমে ঢুকে তারা আলমারি ভেঙে মোট ১১টি মোবাইল চুরি করে বলে অভিযোগ। এমনকি, স্কুলের তিনটি ল্যাপটপও আলমারি থেকে নিয়ে যায় তিন ছাত্র। চেন্নাইয়ের সেলিউরের এই ঘটনায় শোরগোল সংশ্লিষ্ট স্কুলে। সিসিটিভি দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
একাধিক প্রতিবেদনে প্রকাশ, সোমবার সকালে স্কুল শুরু হওয়ার সময় ভাঙা আলমারিতে চোখ যায় শিক্ষকদের। অভিযোগ, বাজেয়াপ্ত ১১টি মোবাইল সেখান থেকে গায়েব হয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়। স্কুলের তিনটি ল্যাপটপও খোয়া গিয়েছে। হুলস্থুল শুরু হয় স্কুলে। দেখা হয় সিসিটিভি। তাতে তাজ্জব বনে যান শিক্ষকেরা। দেখা যায়, স্কুলের তিন ছাত্র এই কাণ্ড করেছে।
ওই স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, গত শুক্রবার ক্লাসে ক্লাসে আচমকা ‘তল্লাশি’ শুরু করেছিলেন প্রধানশিক্ষিকা। সেই সময় পড়ুয়াদের কাছ থেকে মোট ১১টি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়। তার মধ্যে একটি মোবাইল ছিল অভিযুক্ত ছাত্রের। ওই ফোনগুলি স্কুলের স্টাফরুমে একটি আলমারিতে রাখা হয়েছিল। অভিযোগ, শুক্রবার রাতে দুই সহপাঠীকে নিয়ে স্কুলে ‘হানা’ দেয় ১৭ বছরের ওই ছাত্র।
চুরির অভিযোগে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এর পর অভিযুক্ত ছাত্রদের ডেকে পাঠানো হয়। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সবগুলি মোবাইলই উদ্ধার করা গিয়েছে। অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে ল্যাপটপগুলিও। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, ওই ফোন এবং ল্যাপটপ বিক্রি করার ফন্দি করেছিল তিন ছাত্র।
ওই ঘটনা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে শিশু সুরক্ষা কমিটি। তারা জানিয়েছে, অভিযুক্ত পড়ুয়ারা নাবালক। তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে তিন ছাত্রের কাউন্সেলিং করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে সরকারি কোনও হোমেও পাঠানো হতে পারে তিন কিশোরকে।