ভূপেশ বাঘেলের সঙ্গে সহদেব। ছবি: ভিডিয়ো গ্র্যাব।
প্রাথমিকের গণ্ডি পেরিয়ে সবে পঞ্চম শ্রেণিতে। তাতেই শৈশবের প্রেম বুকে নিয়ে বাঁচার অঙ্গীকার। গলা ছেড়ে গান গাওয়ার ২৫ সেকেন্ডের সেই ভিডিয়োতেই রাতারাতি তারকা বনে গিয়েছে সহদেব সাং। অখ্যাত থেকে রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে ওঠে রাণু মণ্ডলের সঙ্গেও তুলনা হচ্ছে তার। আর তাতেই খুদে তারকাকে ডেকে সংবর্ধনা দিলেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। ছোট্ট ছেলেটির গলায় ‘বচপন কা প্যার’ গানের প্রশংসাও করেছেন তিনি।
গা ছমছমে পরিবেশ, প্রতি পদে মৃত্যুর হাতছানি, চারিদিকে গোলাগুলি, মাওবাদী অধ্যুষিত ছত্তীসগঢ়ের সুকমা নিয়ে জনমানসে এমনই ধারণা রয়েছে। কিন্তু একরত্তি সহদেবের গান শুনে তা বোঝার উপায় নেই। সম্প্রতি নেটমাধ্যমে তার একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে। তাতে স্কুলের ইউনিফর্ম পরে গলা ছেড়ে ‘বচপন কা প্যার’ গাইতে দেখা যায় তাঁকে। সহদেবের গলায় তা হয়ে যায় ‘বশপন কা প্যার’। মুহূর্তের মধ্যে ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়ে যায়। সহদেবের অনুকরণে নেটমাধ্যমে ‘ডাবসম্যাশ’ ভিডিয়ো তৈরি করতে দেখা যায় তারকাদেরও। সহদেবকে চণ্ডীগঢ় যাওয়ার আমন্ত্রণও জানিয়ে ফেলেন গায়ক বাদশা।
বুধবার সকাল পর্যন্ত ৫০ লক্ষের বেশি মানুষ ভিডিয়োটি ‘লাইক’ করেছেন। ১ কোটির বেশি বার সেটি দেখা হয়েছে। ‘বচপন কা প্যায়ার’ গানটি আসলে গুজরাতি গায়ক কমলেশ বরৌটের গাওয়া, যাতে শৈশবের প্রেমিকাকে নিয়ে ঘরবাঁধা, একসঙ্গে বাঁচা-মরার কথা বলা হয়েছে। বড় হয়ে প্রেমিকা যাতে ভুলে না যায়, গানে সেই আর্জিও রয়েছে প্রেমিকের।
একরত্তি সহদেব গানের অর্থ বুঝেছে কি না সে ব্যাপারে সন্দিহান নেটাগরিকরা। শিশুসুলভ উচ্চারণে যে ভাবে ‘বচপন’ সহদেবের মুখে ‘বশপন’ হয়ে গিয়েছে তাতে তার সারল্যই ধরা পড়েছে বলে মত নেটাগরিকদের। ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রীও সহদেবের গানের প্রশংসা করেছেন। এমনকি সংবর্ধনা দিয়ে সহদেবকে আর এক বার গানটি শোনানোর অনুরোধ করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ ফেলেনি সহদেব।