ভাতা তুলতে ছেলের পিঠে ব্যাঙ্কে চলেছেন বৃদ্ধা। ত্রিপুরার সিপাহিজলা জেলার গোলাঘাটিতে। নিজস্ব চিত্র
করোনার প্রকোপের কারণে রাজ্যে লকডাউন চলছে। তাই যানবাহনের দেখা নেই পথে। কিন্তু মায়ের ওষুধপত্র কেনার জন্যে টাকার প্রয়োজন।
তাই মায়ের ভাতা তুলে আনতে তাঁকে পিঠে করে ব্যাঙ্কে নিয়ে গেলেন ছেলে।
ত্রিপুরার সিপাহিজলা জেলার জম্পুইজলা মহকুমার গোলাঘাটি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা দময়ন্তী সিনহার বয়স একশো ছুঁইছুঁই। বার্ধক্য ভাতা পান। স্বামী নেই। ছেলে কানন ছোট একটি দোকান চালান। ওষুধ কেনার টাকা নেই হাতে। মায়ের ভাতা তুলতে হলে তাঁকে ব্যাঙ্কে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু গ্রামে কোন রিকশা চলছে না। অন্য উপায় না পেয়ে মাকে কাঁধে তুলে নিয়ে রওনা দেন কানন। তাঁর কথায়, “গাড়িঘোড়া বা রিকশাও না-চলায় বলে প্রথমে কিছুটা চিন্তায় ছিলাম| তখন ছোটবেলার কথা মনে যায়। মা তো আমাকে কে কোলেপিঠে করে কত জায়াগায় বেড়াতে নিয়ে যেত। সঙ্কটের সময়ে আমি কেন পারব না! গোলাঘাটি গ্রামীণ ব্যাঙ্কের শাখায় গিয়ে হয়ে ভাতাও তুলে আনলাম।” পথের ধারে ও ব্যাঙ্কের সকলে দেখে প্রথমে অবাকই হয়েছিল। সে কথা উল্লেখ করে কানন চোখ তুলে বলেন, “আনন্দটা বলে বোঝাতে পারব না।”
আরও পড়ুন: গাঁধী কি এ বার ব্রিটিশ মুদ্রায়? সরব ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক