ভোল্টেজ স্টেবিলাইজারের মতো জিনিসটিকে রাতের আকাশ থেকে খসে পড়তে দেখে চাঞ্চল্য ছড়ায় কাছাড়ের ধলাইয়ে।
বিমান বা অন্য আকাশযানও দেখা যায়নি তখন। গত রাতে ৮টা নাগাদ ভাগাবাজার সংলগ্ন টিলানগরের মসকন্দর আলির বাড়ির উঠোনে সশব্দে আছড়ে পড়ে সেটি। বাক্সটির সঙ্গে ছিল কিছুটা তারও। প্রথমে শক্তিশালী বোমা ভেবে হইচই শুরু হয়। পুলিশ দেখে জিনিসটির উপর বড় বড় হরফে লেখা— ‘মেটেরিওলজিক্যাল রেডিওসন্ড’। তাতে স্বস্তি ফেরে কিছুটা। এলাকাবাসীও আশ্বস্ত হন।
প্রশ্ন, এ জিনিস এল কোথা থেকে? পুলিশ সুপার জানান, এটি যে আবহাওয়ার পূর্বানুমান বিষয়ক যন্ত্র তা বোঝা গিয়েছে। এরমধ্যে এটুকু নিশ্চিত হয়েছে, উত্তর-পূর্বের কোথাও এই ধরনের সামগ্রী আকাশে পাঠিয়ে গবেষণা করা হয় না। আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক পার্থঙ্কর চৌধুরী বলেন, ‘‘আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ বা গবেষণার জন্য এই ধরনের জিনিস আবহাওয়া বেলুনের সাহায্যে উপরে পাঠানো হয়। কোনও কারণে বেলুন ফেটে বা লিক হয়ে এটি পড়তে পারে।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, ওই বাক্সে লেখা রয়েছে ‘ইন্টারমেট—ইন্টারন্যাশনাল মেট সিস্টেম।’ এটি যে বিপজ্জনক বা দূষিত নয়, তারও উল্লেখ রয়েছে। পার্থঙ্করবাবু জানান, রেডিওসন্ড পরিবেশ সংক্রান্ত গবেষণায় ব্যবহার করা হয়। বিশ্ব জুড়ে কয়েকশো রেডিওসন্ড প্রতি দিন কাজ করে চলেছে।