(বাঁ দিকে) জগদীপ ধনখড় ও অরবিন্দ কেজরীওয়াল (ডান দিকে)। ছবি: পিটিআই।
দিল্লির পুরাতন রাজেন্দ্র নগরে কোচিং সেন্টারে পড়ুয়া-মৃত্যুর ঘটনার আঁচ এ বার সংসদেও। রবিবার ওই কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টে জল ঢুকে তিন পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। তার আগে গত সপ্তাহে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল আরও এক জনের। সোমবার রাজ্যসভায় এই নিয়ে আলোচনার সময় কোচিং সেন্টারগুলির ভূমিকা নিয়ে সরব রাজ্যসভার চেয়ারপার্সন জগদীপ ধনখড়। তাঁর মতে, কোচিং সেন্টারগুলি এখন বকলমে ব্যবসার জায়গা হয়ে গিয়েছে। নিজের বক্তব্যের সমর্থনে কোচিং সেন্টারগুলির বিজ্ঞাপনের কথাও তুলে ধরেন তিনি।
দিল্লির কোচিং সেন্টারে পড়ুয়াদের মৃত্যুর ঘটনায় কর্তৃপক্ষের গাফিলতির ইস্যুতে রাজ্যসভায় আলোচনার দাবি তুলেছিলেন আপ সাংসদ স্বাতী মালিওয়াল। স্বাতী মালিওয়ালের সঙ্গে এখন দলের সম্পর্ক মোটেই মসৃণ নয়। দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হলেও সাংসদ পদ ছাড়েননি স্বাতী। রাজনৈতিক মহলের মতে, পুরাতন রাজেন্দ্র নগরের কোচিং সেন্টারের প্রসঙ্গে রাজ্যসভায় আলোচনার প্রস্তাবে আখেরে নিজের দলের উপরেই চাপ বাড়াতে চাইছেন সাংসদ। যদিও শুধু রাজ্যসভা নয়, সংসদের উভয় কক্ষই সোমবার সরগরম কোচিং সেন্টার ইস্যুতে।
কোচিং সেন্টারে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় দায় কার, তা নিয়ে আলোচনা চেয়ে লোকসভায় মুলতুবি প্রস্তাব জমা দেন কংগ্রেস সাংসদ অমর সিং ও মানিকম ঠাকুর। লোকসভায় আলোচনার সময় রাজেন্দ্র নগরের কোচিং সেন্টারে দুর্ঘটনার দায় পুরোপুরি আম আদমি পার্টির উপরেই চাপালেন বিজেপি সাংসদ বাঁশুরী স্বরাজ। তিনি বলেন, “মানুষের সমস্যার দিকে নজর দিচ্ছে না আম আদমি পার্টির সরকার। তাদের গাফিলতির জন্যই পড়ুয়াদের মৃত্যু হয়েছে।”
কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুরও এই দুর্ঘটনাকে মর্মান্তিক বলে ব্যাখ্যা করেন। ওই কোচিং সেন্টারের ভবন নির্মাণের সময় অগ্নি নির্বাপণ বিধি, বন্যা মোকাবিলা বিধি-সহ আরও অনেক কিছুই অবহেলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ শশীর। সে ক্ষেত্রে দিল্লিতে আপ-পরিচালিত পুরনিগম যে দায় এড়াতে পারে না, সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ। সমাজবাদী পার্টির সাংসদ অখিলেশ যাদবও এই ধরনের বেআইনি ভবনের বিরুদ্ধে ‘বুলডোজ়ার অ্যাকশন’-এর পক্ষে সওয়াল করেন। দিল্লির কোচিং সেন্টারের বেসমেন্টে জল ঢুকে যাওয়ার ঘটনায় তদন্তের দাবিও ওঠে লোকসভায়।